বাংলাদেশের(Bangladesh) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে এবার চূড়ান্ত হয়ে গেল নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনূসের(Nobel laureate Mohammed Yunus) নাম। গতকাল রাতে জরুরি বৈঠক শেষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে ইউনূসের নাম ঘোষণা করেন। প্রসঙ্গত, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে ইউনূসের নাম চূড়ান্ত হওয়াকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জয় হিসেবেই দেখছে রাজনৈতিক মহল। আন্দোলনকারীরা প্রথম থেকেই সরকারের প্রধান হিসেবে ইউনূসের নাম প্রস্তাব করে আসছিলেন। এদিন আন্দোলনকারীদের সেই দাবিতে শিলমোহর পড়ল।
শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর সমগ্র বাংলাদেশ(Bangladesh) জুড়ে চলছে সেনাশাসন। হাসিনার পদত্যাগ এবং দেশত্যাগের পর বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জানিয়েছিলেন দ্রুত গঠন করা হবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। অবশেষে সেই সরকারের প্রধান হিসেবে ঘোষণা করা হল ইউনূসের নাম। রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে সরকারের বাকি পদাধিকারী কারা হবেন সেটাও দ্রুত স্থির করে ফেলা হবে।
আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলন এবং কয়েকটি প্রশ্ন
তবে এতকিছুর পরেও বাংলাদেশে(Bangladesh) হিংসা থামার কোন লক্ষণ নেই। একের পর এক সরকারি অফিস, মন্ত্রীদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, পুলিশকর্মীদের পিটিয়ে হত্যার পরেও সেনাকে বাড়তি সক্রিয় হতে দেখা যায়নি। বারংবার প্রশ্ন উঠছে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়েও। তবে আন্দোলকারীদের একাংশ এদিন জানিয়ে দিয়েছে সংখ্যালঘুদের উপর হামলার ঘটনা কোনভাবেই মেনে নেবে না তারা। দরকারে সর্বশক্তি দিয়ে প্রতিরোধ করা হবে।
এই পরিস্থিতিতে দিল্লিতে সেফ প্যাসেজেই রয়েছেন বাংলাদেশের পদত্যাগী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশের পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য সর্বদলীয় বৈঠক করেন। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে বৈঠক করেছেন অমিত শাহ। সুতরাং পড়শি দেশের অশান্তি যে ভারতের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে সেকথা বলাইবাহুল্য। খালেদা জিয়া মুক্তি পাওয়ার পর সেই চিন্তা আরও বেড়েছে। মহম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মনোনীত হওয়ার পর অশান্ত বাংলাদেশে শান্তি ফেরে কিনা সেটাই দেখার।