বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কারণে সীমান্ত বন্ধ রয়েছে। ফলে সার দিয়ে পণ্যবাহী ট্রাক দাঁড়িয়ে আছে। এই অবস্থায় পশ্চিম মেদিনীপুরের(Midnapore) আলু চাষী ও ব্যবসায়ীরা পশ্চিম মেদিনীপুরের(Midnapore) জেলা শাসকের কাছে স্মারকলিপি দিলেন। এবং তাদের একাধিক দাবি তুলে ধরলেন। পশ্চিম মেদিনীপুরের(Midnapore) জেলাশাসকের কাছে স্মারক লিপি জমা দিয়ে জেলার আলু চাষি ও ব্যবসায়ীরা দাবি করেন, তিনশোর বেশি ট্রাক সীমান্ত আটকে রয়েছে। ফলে যা আলু রয়েছে সব পচে যাচ্ছে। এই মুহূর্তে রাজ্য সরকার এই ব্যাপারে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করুক।
জেলার আলু চাষি(Potato farmers) এবং ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, ‘রাজ্য সরকার সুফল বাংলা স্টলের মাধ্যমে ৩০ টাকা করে আলু বিক্রি করতে চাইছেন। সেখানে আমরা ২৪ টাকা কেজিতে বিক্রি করে দিতে চাই। এক্ষুনি আমাদের আলু রাজ্য সরকার কিনে নিক। আর তা না হলে ভিন রাজ্যে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিন। তা না হলে আমাদের চরম দুর্দশা তৈরি হবে।’
এখানেই থামেননি আলু চাষিরা। তারা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে দাবি জানিয়ে বলেন, ‘এই মুহূর্তে সীমান্তে ৩০০র বেশি ট্রাক দাঁড়িয়ে রয়েছে। সমস্ত আলু পচে যাচ্ছে। ভিন রাজ্যেও গাড়ি যেতে দেওয়া হচ্ছে না। আটকে দেওয়া হচ্ছে। তাহলে আমরা এই পরিস্থিতিতে করবো কি? ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে আলু চাষ করেছি। ফলে যদি অন্য কোনো রাজ্যে আলু পাঠাতে না দেওয়া হয়, তাহলে আর্থিক পরিস্থিতি যথেষ্ট খারাপ হবে। তখন আত্মহত্যা করা ছাড়া আর উপায় থাকবে না।’
আরও পড়ুনঃ ঘাটালে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে, ডাক্তার ও ত্রাণ নিয়ে সক্রিয় প্রশাসন
আলু চাষি এবং ব্যবসায়ীদের কথায়, ‘পশ্চিম মেদিনীপুর(Midnapore) জেলার চন্দ্রকোনা, গড়বেতা, শালবনী এলাকায় যা আলু উৎপন্ন হয় তার ১৫ থেকে ২০ শতাংশ এখানে লাগে। বাকিটা ভিন রাজ্যে দেওয়া যেতে পারে। সেটা দিতে দেওয়া হচ্ছে না। তাহলে রাজ্য সরকার আসলে চায় কি? যদি ভিন রাজ্যে না যেতে দেওয়া হয়, তাহলে ২৪ টাকা কিলো দরে সমস্ত আলু কিনে নিক রাজ্য সরকার। এখন ধানের সময়, ধান চাষ করতে গেলে প্রচুর টাকা লাগে। ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে আলু চাষ করা হয়েছে। ভিন রাজ্যে আলু পাঠাতে না দিলে চরম আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে আলু চাষী ও ব্যবসায়ীদের।
এই প্রসঙ্গে মেদিনীপুর(Midnapore) জেলা বিজেপির সাংগঠনিক সভাপতি অরূপ বিশ্বাস বলেন, ‘আলু চাষিদের দাবির প্রতি সমর্থন রয়েছে। কারণ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় প্রচুর পরিমাণে আলু উৎপন্ন হয়। ভিন রাজ্যে না পাঠাতে দিলে চাষীরা এবং ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তৃণমূলের তরফে জেলা সভাপতি এই বিষয়ে জানান, জেলায় আলু অর্থকরী ফসল। প্রচুর পরিমাণে আলু উৎপাদন হয় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায়। ফলে মন্ত্রী এবং বিধায়ক যারা আছেন, তারা এ বিষয়ে সদর্থক ভূমিকা নেবেন। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীও এই সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে উদোগী হবেন বলেই আমরা জানি।