হাওড়া রেলওয়ে স্টেশন (Howrah Station) বহু প্রাচীন হলেও এখনো পর্যন্ত ইউনেস্কোর হেরিটেজ তালিকায় ঠাঁই পায়নি। তবে হাওড়া (Howrah Station) ঠাঁই না পেলেও ইতিমধ্যেই মুম্বইয়ের ছত্রপতি শিবাজী টার্মিনাস এবং চার্চ গেট স্টেশন ইউনেস্কোর তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে। হাওড়া স্টেশনের (Howrah Station) বয়স ১৭০ বছর। তার প্রাচীনতম ঐতিহ্যের দিকে লক্ষ্য রেখে ইউনেস্কো হেরিটেজের তালিকায় নাম তোলার জন্য ইতিমধ্যেই রেল দপ্তরের (Indian Railways) তরফে তোড়জোড় শুরু হয়েছে।
ইতিহাস ঘাটলে দেখা যাবে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতামহ প্রিন্স দ্বারকানাথ দ্রুত কয়লা নিয়ে আসার জন্য ইংল্যান্ডের একটি ট্রেনে চড়ার সময় তার ভাবনায় রেলপথ নির্মাণের চিন্তাটি আসে। দেশে ফিরে ইংরেজদের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় গ্রেট ওয়েস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ে কোম্পানি তৈরি করেন। পরবর্তীতে তার মৃত্যুর পরে ইংরেজদের ইস্ট ইন্ডিয়ান রেলওয়ে কোম্পানির সঙ্গে তার সংস্থাটি মিশে যায়। তারপরেই শুরু হয় হাওড়া স্টেশন শুরুর পরিকল্পনা।
হাওড়া স্টেশনের প্রাচীনতম বহু গুরুত্ব রয়েছে। হাওড়া স্টেশনের সাংস্কৃতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, ঐতিহ্যগত এবং প্রযুক্তিগত দিক বিবেচনা করে এটিকে ইউনেস্কোর হেরিটেজ তালিকায় আনার জন্য ভারতীয় রেলওয়ের তরফে তোড়জোড় শুরু হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে করোনা সংক্রমণের সময় তা থমকে যায়। হাওড়া রেলওয়ে ডিভিশনাল ম্যানেজার সঞ্জীব কুমার হাওড়া স্টেশনকে ইউনেস্কোর এই তালিকায় তোলার জন্য যথেষ্ট আগ্রহ দেখান।
ইতিমধ্যেই ইউনেস্কো হেরিটেজ তালিকায় বিশ্বের ঐতিহ্যবাহী জায়গা হিসেবে শান্তিনিকেতন রয়েছে। এবার এই তালিকায় উঠতে গেলে সেই স্টেশনে প্রাচীন ঐতিহ্যের দিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া দরকার। তাই ইতিমধ্যেই মুম্বইয়ের ছাত্রপতি শিবাজী টার্মিনাস স্টেশন ঘুরে দেখে এসেছেন হাওড়ার রেলকর্তারা। তারপরেই ঐতিহাসিক সময়ের পুরনো নথি খুঁজে বের করে প্রাচীন ঐতিহ্যের বিষয়টি হাওড়া রেল স্টেশনের মূল ভবন এবং প্রাচীন ডিআরএম ভবনে তুলে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে। আর এই দুইটি জায়গাকে ইউনেস্কোর হেরিটেজ তালিকায় তোলার জন্য ইতিমধ্যে আরেক দফায় প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে।