রাজীব ঘোষ: পূর্ব মেদিনীপুরের(Midnapore) তাজপুরে সমুদ্র সৈকত সংলগ্ন এলাকায় দোকান উচ্ছেদ করতে গিয়েছিলেন মহিলা ফরেস্ট অফিসার মনীষা সাউ। তিনি সেখানে দোকান উচ্ছেদ করতে যেতেই কিছুক্ষণের মধ্যে সেই জায়গায় উপস্থিত হন রামনগরের বিধায়ক এবং কারামন্ত্রী অখিল গিরি(Akhil Giri)। ওই মহিলা ফরেস্ট রেঞ্জার মনীষা সাউকে তিনি রীতিমতো হুমকি দিয়ে বলেন, ‘আপনার আয়ু আর ৭-৮ দিন.. বেশি বাড়াবাড়ি করবেন না। ডাং দিয়ে পিটাবো। বেশি বাড়াবাড়ি করলে এখান থেকে ফিরতে পারবেন না।’
যখন কারামন্ত্রী অখিল গিরির এই বক্তব্য নিয়ে তোলপাড় হয়ে উঠেছে রাজ্য, সেই সময়ে অখিল গিরি তার এই ঘটনার কারণ প্রসঙ্গে স্পষ্ট ভাবে জানালেন, “ওই মহিলা ফরেস্ট রেঞ্জার মনীষা সাউয়ের ব্যবহার একদমই ভালো নয়। উনি কোনো মানুষের সঙ্গে ভদ্র ব্যবহার করেন না। আমাদের লোকেরা বরং ওর সঙ্গে যথেষ্ট শ্রদ্ধার সঙ্গে কথা বলেছেন।”
মন্ত্রী অখিল গিরি ডিস্ট্রিক্ট ফরেস্ট অফিসারের সঙ্গে এই ব্যাপারে কথা বলেন। তাকে প্রশ্ন করেন, যে জায়গায় দোকান উচ্ছেদ করতে ওই ফরেস্ট অফিসার গিয়েছিলেন, সেটা তো বন দপ্তরের জায়গাই নয়। এই ঘটনা প্রসঙ্গে মন্ত্রী অখিল আরো বলেন, “ওই মহিলা ফরেস্ট অফিসার জঘন্য ব্যবহার করেন। রাত্রি সাড়ে ১১টা নাগাদ অন্ধকারে ওই এলাকা থেকে উনি দোকান উচ্ছেদ করতে গিয়েছিলেন। করাত দিয়ে মানুষের দোকানগুলোর বাঁশগুলো কেটে কেটে সমুদ্রের জলে ফেলে দিচ্ছিলেন। তখন এই খবর পেয়ে ১০০- ১৫০ জন মানুষ ওখানে পৌঁছয়। আর তখনই ফরেস্ট অফিসার মনীষা অভিযোগ করে বলেন, ওরা গুন্ডাগিরি করতে এসেছেন।”
কিন্তু একজন মহিলা অফিসারের সঙ্গে মন্ত্রীদের ওই ধরনের ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন করতেই অখিল গিরির বক্তব্য, “তেমন কোনো বাজে ব্যবহার ওনার সঙ্গে করা হয়নি।” এই প্রসঙ্গে বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা বলেন, ‘আমরা যারা দায়িত্বপূর্ণ ব্যক্তি বিশেষ করে কোনো মন্ত্রীর এই ধরনের আচরণ করা উচিত নয়। আর একজন মহিলা অফিসারের সঙ্গে এই আচরণ সমর্থন করি না। অখিলদার কোনো বক্তব্য থাকলে আমাকে উনি বলতেই পারতেন।’