Midnapore: ছেলে বৌয়ের যা রুদ্রমূর্তি, বাপ রে বাপ….রোজ বাবা-মাকে মারতো ছেলে বৌমা

Published On:
লেটেস্ট আপডেট সবার আগে Join Now

রাজীব ঘোষ: এক বুক আশা নিয়ে নিজের সন্তানকে তিলে তিলে বড় করে তোলেন প্রায় সমস্ত বাবা-মা। কিন্তু বাবা-মা যখন বৃদ্ধ হয়, বয়সের ভারে ন‍্যুব্জ হয়ে পড়েন, তখন তার ভরসা এবং নির্ভরতার জায়গা ওই সন্তান। অথচ বর্তমান সমাজে একের পর এক ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে, কি পরিমানে সামাজিক অবক্ষয় শুরু হয়েছে। অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক নকুল চন্দ্র বারিক এবং তার স্ত্রী যমুনা বারিক, দুজনেরই বয়স ৮০-র কোঠায়। একটাই মাত্র ছেলে তাদের। নিজেরাই দেখাশোনা করে বউ মা নিয়ে এসেছিলেন। নিজেদের যা জমি জায়গা সম্পত্তি ছিল সবই ছেলের নামে লিখে দিয়েছেন।

আরও পড়ুনঃ পথ দুর্ঘটনায় মৃত হেলমেট বিহীন স্কুটি চালক, খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে আক্রান্ত ২ সাংবাদিক

শুধু তাই নয়, একমাত্র ছেলের কিডনির সমস্যা থাকায় জমানো টাকা দিয়ে কলকাতা থেকে চিকিৎসা করিয়ে এনেছেন বাবা-মা। এবার যে বৌমাকে দেখাশোনা করে তারা বাড়িতে নিয়ে এসেছিলেন, তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক দম্পতি। ছেলে আর বৌমা মা-বাবার উপর প্রতিদিন নিয়মিত যেভাবে অত্যাচার করে, তা এক কথায় ক্ষমার অযোগ্য। তাদের ছেলে কাশিনাথ এবং তার স্ত্রী রুমা অর্থাৎ ওই বৃদ্ধ-বৃদ্ধার বৌমা, তারা প্রতিনিয়ত অত্যাচার করতেন। ছেলে কাশীনাথ মাকে মারধর করতেন, আর বৌমা পাশ থেকে উস্কানি দিয়ে যেতেন বলে অভিযোগ।

মুখ বুঝে সহ্য করে থাকলেও এই অত্যাচারের মাত্রা ছাড়ায় সোমবার। সেদিন দিনভর অত্যাচার চলে। রাতের বেলায় বাড়ির বাইরে চলে আসেন ওই বৃদ্ধা। প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যান। মঙ্গলবার সকালে যখন বাড়িতে ফেরাতে যান প্রতিবেশীরা, তখন পরিস্থিতি আরো ঘোরানো হয়ে ওঠে। প্রতিবেশীদের সঙ্গে গন্ডগোল শুরু হয়ে যায় ছেলে বৌমার। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তার সামনেই তর্কাতর্কি চলতে থাকে।

আরও পড়ুনঃ মেদিনীপুর শহরে হকার বিক্ষোভে তোলপাড়

চন্দ্রকোনা থানার পুলিশ ছেলে কাশিনাথকে আটক করে থানায় নিয়ে গিয়েছে। আপাতত তার জায়গা হয়েছে শ্রীঘরে। তাদের এক প্রতিবেশী জানান, আমরা বাইরে থেকে চিৎকার শুনতাম, রোজ ছেলে এবং বৌমা মারতো। বৌমা তো আরো মারাত্মক। ওর যা রুদ্রমূর্তি দেখলাম…. আমাদের সামনেই যা করছিল, বাপরে বাপ.. ওই বৃদ্ধা বলেন, যা জমি জায়গা সম্পত্তি ছিল সবই ছেলেকে রেজিস্ট্রি করে দিয়ে দিয়েছি। শেষ জীবনের যেটুকু টাকা ছিল কলকাতা থেকে ছেলের চিকিৎসা করিয়ে এনেছি। এখন আমরাই ওদের কাছে বোঝা হয়ে গিয়েছি। এতদিন পর্যন্ত কারোর কাছে কোনো কিছু বলিনি। ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ড ভেরবাজার এলাকার। আপাতত পুলিশের হাতেই আটক রয়েছে গুণধর ছেলে।