রাজীব ঘোষ: একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে মাস্টারস্ট্রোক দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। নির্বাচনে জিতে ফের ক্ষমতায় এলে তিনি রাজ্যের মহিলাদের জন্য লক্ষ্মীর ভান্ডার (Lakshmir Bhander) প্রকল্প চালু করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। আর তারপর একুশে মহিলারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দুহাত তুলে ঢেলে ভোট দিয়েছেন। আর রাজ্যের ক্ষমতা দখল করার পরেই রাজ্যের মহিলাদের জন্য Lakshmir Bhander প্রকল্প চালু করেছেন তিনি।
প্রথমে Lakshmir Bhander প্রকল্পে সাধারণ শ্রেণীভুক্ত মহিলারা ৫০০ টাকা এবং তফসিলি জাতি এবং উপজাতি মহিলারা ১ হাজার টাকা করে পেতেন। পরবর্তীতে লোকসভা নির্বাচনের বেশ কিছুদিন আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, লক্ষ্মীর ভান্ডারের(Lakshmir Bhander) টাকার পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়া হবে। তারপরেই সাধারণ শ্রেণীর মহিলারা পান এখন ১ হাজার টাকা করে প্রতি মাসে এবং এসসি, এসসি মহিলারা প্রতিমাসে ১২০০ টাকা করে পান। লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করতে গেলে রাজ্য সরকারের দুয়ারে সরকার ক্যাম্প(Duare Sarkar Camp) থেকে নথিভুক্ত করতে পারবেন। এছাড়াও স্থানীয় বিডিও অফিস, এসডিও অফিস, পুরসভা, পঞ্চায়েতের যেকোনো কার্যালয়ে গিয়ে লক্ষ্মীর ভান্ডার সম্বন্ধে জানতে চাইলে সেখান থেকেই বিস্তারিত সব করে নিতে পারবেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী রাজনীতিতে লক্ষ্মীর ভান্ডার একটা মাস্টারস্ট্রোক দিয়েছে।অধিকাংশ মহিলারা পরিপূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আগামী দিনে এই লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে বরাদ্দ আরো বাড়ে কিনা সেটা তো সময় বলবে। তবে এই মুহূর্তে রাজ্যজুড়ে প্রায় ২ কোটি মহিলা এই লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে নিয়মিত টাকা পাচ্ছেন। এবার লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে নাম নথিভূক্ত করতে গেলে জরুরি যে সমস্ত ডকুমেন্টস রয়েছে, সেগুলো না দিলে কোনোমতেই আপনি আপনার নাম লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে নথিভুক্ত করতে পারবেন না।
আরও পড়ুনঃ পথ দুর্ঘটনায় মৃত হেলমেট বিহীন স্কুটি চালক, খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে আক্রান্ত ২ সাংবাদিক
একুশে জুলাই এর সভা থেকেও মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প এখনো পর্যন্ত যে সমস্ত আবেদনপত্র জমা রয়েছে বা সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া শেষ হয়নি, সেগুলো ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই চালু হয়ে যেতে পারে। ফলে উপভোক্তা মহিলার সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। এবার আপনি যদি লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে নিজের নাম নথিভুক্ত করতে চান, তাহলে বয়স ২৫ বছর হতে হবে। তার সঙ্গে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস হিসেবে আধার কার্ড, ভোটার কার্ড এবং আধার লিঙ্ক সহ ব্যাংক একাউন্ট নম্বর থাকতে হবে। লক্ষ্মীর ভান্ডার এর ফর্ম ফিলাপের সময় আধার নম্বর এবং ব্যাংক একাউন্ট ডিটেলস অবশ্যই দিতে হবে। তার সঙ্গে এক কপি পাসপোর্ট সাইজ ফটো ওই ফর্মের উপরে ডানদিকে লাগিয়ে দিতে হবে। প্রতিটি ডকুমেন্টস এর জেরক্স কপি সই করে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের ফর্মের সঙ্গে অ্যাটাচ করে জমা দিতে হবে।