রাজীব ঘোষ: রাস্তা জুড়ে হকারি করা চলবে না। ফুটপাত দখল করে সাধারণ মানুষের অসুবিধা করা যাবে না। আর সেই কারণেই ফুটপাত থেকে হকার উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরে আপাতত মাসখানেকের জন্য বুলডোজার চালিয়ে হকার উচ্ছেদের সেই প্রক্রিয়া বন্ধ করার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি হকারদের একটি নির্দিষ্ট তালিকা তৈরি করে তাদের কিভাবে পুনরায় পুনর্বাসন দেওয়া যায়, সেই বিষয়ে ভাবনা চিন্তা করার জন্য সমস্ত প্রশাসনিক আধিকারিকদের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
আর মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই মেদিনীপুর কলেজ স্কোয়ার(Midnapore College Square) সংলগ্ন এলাকায় যে সমস্ত হকাররা ফুটপাতে ব্যবসা করছিলেন তাদের সেখান থেকে তুলে নিয়ে অন্য জায়গায় পুনর্বাসন দেয় মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন(Midnapore District Administration)। মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ওই সমস্ত হকাররা যে জায়গায় পুনর্বাসন পেয়েছেন, সেখানে তাদের ব্যবসা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন তারা। আর সেই অভিযোগের পরেই ফের পুরনো জায়গা মেদিনীপুর(Midnapore) কলেজ স্কোয়ার সংলগ্ন এলাকায় হকারি শুরু করতে থাকেন।
আর তারপরেই ঘটে যায় সেই ঘটনা। মেদিনীপুর কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সত্যরঞ্জন ঘোষ সহ শিক্ষা কর্মীরা এবং মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুল এর প্রধান শিক্ষিকা সহ অনেকেই এই বিষয়টিতে প্রতিবাদ করেন। তবে তারা সকলেই হকারদের রুটিরুজির ব্যবস্থা যাতে বন্ধ না হয়ে যায়, সেই কথাটিও বলেন।তাদের বক্তব্য, মেদিনীপুর কলেজ স্কোয়ার এলাকায় ফের হকাররা বসলে সমস্যা তৈরি হবে।
যদি প্রশাসনের উদ্যোগে এই বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে কিছু একটা করা যায়, তার জন্য তারা আবেদন করেন।এদিকে হকারদের অভিযোগ, যে জায়গায় পুনর্বাসন দেওয়া হয়েছে, সেখানে একেবারেই বিক্রি হচ্ছে না। ফলে রুটিরুজির পথ বন্ধ হতে বসেছে। তারা ফের পুরনো মেদিনীপুর কলেজ স্কোয়ার(Midnapore College Square) সংলগ্ন এলাকাতেই হকারি করতে চান বলে জানান।
আরও পড়ুনঃ মেদিনীপুর শহরে হকার বিক্ষোভে তোলপাড়
আগের দিন এই দাবিতে হকাররা রাস্তায় শুয়ে পড়েন। প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানাতে থাকেন। মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই বিষয়টি নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করা হচ্ছে বলেই জানা গিয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত কোনো সমাধান সূত্র বের হয়নি। আর এদিকে মেদিনীপুর কলেজ স্কোয়ার সংলগ্ন এলাকায় ব্যবসা করার দাবীতে বেশকিছু হকার আমরণ অনশন শুরু করেছেন।