রাগ করে বাপেরবাড়ি চলে গিয়েছিলেন স্ত্রী(wife)। তাকে ফিরিয়ে আনতে গিয়েই ভয়ানক কাণ্ড ঘটালেন স্বামী। হুগলির ঘটনায় এখনও শিউরে উঠছেন ওই গৃহবধূর প্রতিবেশীরা। জানা গেছে, কয়েকবছর আগে গোঘাটের কামারপুকুরের বাসিন্দা সুস্মিতা দাসের সঙ্গে বিয়ে হয় রাজেশ দাসের।
আরও পড়ুনঃ স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ, লোকলজ্জায় আত্মহত্যা তৃণমূল নেতার
বিয়ের পর ভালোই চলছিল তাদের সংসার। তবে কিছুদিন আগে সামান্য মনোমালিন্যের জেরে বাপেরবাড়ি চলে আসেন সুস্মিতা। এদিকে স্ত্রীকে(wife) বাপেরবাড়ি থেকে ফিরিয়ে আনতে শ্বশুরবাড়ি গিয়েছিলেন রাজেশও। কিন্তু সুস্মিতা তার সঙ্গে ফিরতে চাননি। বহু বোঝানোর পরেও কাজ না হওয়ায় একসময় প্রবল বাকবিতণ্ডা শুরু হয় দুজনের মধ্যে। এই সময় অতর্কিতে রাজেশ ছুরি দিয়ে একের পর এক আঘাত করতে থাকেন সুস্মিতাকে। প্রতিবেশীরা এসে কোনক্রমে থামান রাজেশকে। সুস্মিতাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সবাই যখন সুস্মিতাকে নিয়ে ব্যস্ত তখন প্রথমে ছুরি দিয়ে নিজেকে আঘাত করে পরে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। সুস্মিতা কামারপুকুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
স্থানীয় সূত্রে খবর মনোমালিন্য হওয়ার কারণে প্রায় এক সপ্তাহ আগে বাপেরবাড়ি চলে এসেছিলেন সুস্মিতা। শুক্রবার রাজেশ তাকে ফিরিয়ে আনতে শ্বশুরবাড়ি যান। সেখানেই কথা কাটাকাটি হয় তাদের মধ্যে। এরপরই সুস্মিতাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে আত্মঘাতী হন রাজেশ। মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হন সুস্মিতার বাবাও।
আরও পড়ুনঃ হাতে হাতে স্মার্টফোন, শিশুদের ইন্টারনেট আসক্তি থেকে মুক্ত করবেন কীভাবে?
সুস্মিতার এক প্রতিবেশী জানিয়েছেন রাজেশ আসার পর দীর্ঘক্ষণ স্ত্রীকে বোঝানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। তারপরই রাগের মাথায় স্ত্রীকে(wife) ছুরি দিয়ে আঘাত করে সে।