রাজীব ঘোষ: গণতান্ত্রিক অধিকার নেই মুখ্যমন্ত্রীর(Chief Minister)? শুনে অবাক লাগছে? হ্যাঁ, এরকমটাই জানা গেছে। হাইকোর্টে(High Court) নির্দেশে বাক স্বাধীনতা(Freedom of speech) খর্ব হচ্ছে বলে ডিভিশন বেঞ্চে আর্জি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Chief Minister Mamata Banerjee)। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, মূল অভিযোগ সংবাদপত্র এবং গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের ওপর ভিত্তি করে। সুপ্রিম কোর্টের আদৌ কোনো রক্ষাকবচ আছে কিনা তা নিয়েও মামলা বিচারাধীন। প্রসঙ্গত, রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে যে মানহানির মামলা করেছেন সেটি ডিভিশন বেঞ্চ পর্যন্ত গিয়েছে।
এই মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের(High Court) সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশ ছিল, ১৪ ই আগস্ট পর্যন্ত রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কোনো মানহানিকর মন্তব্য করা যাবে না। আর সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি বাক স্বাধীনতা খর্ব হওয়ার অভিযোগ করেন। এই প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী আরো বলেন, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তো পাবলিক ডোমেনেই অভিযোগ উঠছে। এখানে অসত্য কোথায়? ফেক কমেন্ট কেন হবে? সাংবিধানিক পদে কি হচ্ছে সেটা জনগণের জানার অধিকার আছে।
আরও পড়ুনঃ রোহিত, বিরাট ও জাদেজাকে নিয়ে জয়সুরিয়ার মন্তব্যে উজ্জীবিত শ্রীলঙ্কা দল
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাত চলছেই। নবান্ন- রাজভবন এই সংঘাতের আবহের মধ্যেই দিন কয়েক আগে উপনির্বাচনে জয়ী ২ বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রেয়াত হোসেনের শপথ গ্রহণ নিয়ে যথেষ্ট তর্ক বিতর্ক হয়। আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্ন থেকে বলেছিলেন, তার কাছে মহিলারা অভিযোগ করছেন রাজভবনে যেতে ভয় পাচ্ছেন তারা। এমনকি সায়ন্তিকার আতঙ্কের কথা এদিন ফের তার আইনজীবী জয়ন্ত মিত্র উল্লেখ করে বলেন, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি রাজভবনে যেতে ভয় পাচ্ছেন বলে জানাচ্ছেন। আর সেই বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমে অভিযোগও উঠেছে। কলকাতা হাইকোর্টে(High Court)এই মামলার শুনানি বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে বারোটায় হবে।