গভীর সংকটে পশ্চিম মেদিনীপুর (Medinipur)! জেলার নাবালিকা মেয়েদের নিয়ে ক্রমশ বাড়ছে সমস্যা! পশ্চিম মেদিনীপুর (Medinipur) জেলার ১০,৭৫৫ জন নাবালিকা কন্যা অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত সময়কালে। জেলা প্রশাসন সূত্রে এই তথ্য জানা গিয়েছে। এই পরিসংখ্যান কপালে ভাঁজ ফেলেছে জেলার প্রশাসনিক আধিকারিকদের।
পশ্চিম মেদিনীপুরে নাবালিকা প্রসূতির সংখ্যা ভ্রুকুটি তৈরি করছে জেলা প্রশাসনে। জেলার ১০০ জন প্রসূতির মধ্যে ২০ জন নাবালিকা। নাবালিকা প্রসূতি হার ১৯.৫ শতাংশ। যদিও জেলা প্রশাসনের দাবি, জেলায় নাবালিকা প্রসূতির হার আগের তুলনায় কিছুটা হলেও কমেছে। বছর দুই আগে নাবালিকা প্রসূতির হার ছিল প্রায় ২১ শতাংশ, যা এখন প্রায় ১.৫ শতাংশ কমে ১৯.৫ শতাংশ। জেলার ২১টি ব্লকের মধ্যে – শালবনি, খড়গপুর- ১, গড়বেতা- ১, গড়বেতা- ২, গড়বেতা- ৩, চন্দ্রকোনা- ১, চন্দ্রকোনা- ২, কেশিয়াড়ি এবং সবং – এই
৯টি ব্লকে নাবালিকা প্রসূতির হার সর্বাধিক।
জেলায় এখনও স্কুল পড়ুয়া মেয়েদের বিবাহ হচ্ছে অহরহ। ১৮ বছর বয়সের নীচেই অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ছেন তাঁরা। ফলে প্রায়শই জেলার হাসপাতালগুলিতে গুরুতর অবস্থায় নাবালিকা প্রসূতিদের নিয়ে আসা হচ্ছে। অপরিণত বয়সে সন্তান ধারণের প্রভাব পড়ছে মায়ের ও সদ্যোজাত শিশুর শরীরে। অপরিণত অবস্থায় ও কম ওজন নিয়ে জন্মাচ্ছে শিশুরা।
জেলা প্রশাসনের তরফে যদিও চেষ্টা চলছে। বাল্যবিবাহ রোধে কন্যাশ্রী-রূপশ্রীর মতো প্রকল্পের প্রচার চালানো হচ্ছে। স্কুলে স্কুলে কন্যাশ্রী ক্লাব গঠন করে বাল্যবিবাহ রোধ করতে ও মানুষজনকে সচেতন করতে চেষ্টা চলছে। অপরিণত বয়সে সন্তান ধারণের কুফল নিয়েও প্রচার চলছে। জেলার কোন কোন এলাকায় বাল্যবিবাহের প্রবণতা বেশি, সেই এলাকাগুলি চিহ্নিত করে প্রচারে জোর দিচ্ছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। কিন্তু সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা গড়ে ওঠা বাল্যবিবাহের মতো সামাজিক ব্যাধি দূরীকরণে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ।