রাজীব ঘোষ: দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে থাকেন আইএএস(IAS) আইপিএস এর মত আমলারা। এবার সেই আইএএস-এ নিয়োগকে(Recruitment) কেন্দ্র করেই দেশজুড়ে বিতর্ক। জাল প্রতিবন্ধী(Disabled) সার্টিফিকেট জমা দিয়ে পূজা খেদকার পরীক্ষায় পাশ করার সুযোগ নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গিয়েছে, জাল রেশন কার্ড, বাড়ির ঠিকানা ভুল এবং বিশেষভাবে সক্ষম হওয়ার জাল সার্টিফিকেট জমা দিয়ে এবং পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে আইএএস অফিসার হিসেবে চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ। ভুয়ো নথিতে পরীক্ষা দিয়ে আইএএস অফিসার হওয়ার অভিযোগ যার বিরুদ্ধে উঠেছে তার নাম পূজা খেদকার। এবার ইউপিএসসির বা Union Public Service Commissionএর তরফে জানানো হয়েছে, পূজা খেদকারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের হয়েছে। দুর্নীতি প্রমাণ হলে চাকরি চলে যাবে পূজা খেদকারের।
যখন পূজাকে নিয়ে এরকম চর্চা হচ্ছে দেশজুড়ে, তখন আরেক আইএএস অফিসার স্মিতা সবরওয়াল এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেছেন। https://x.com/SmitaSabharwal/status/1814879480202338771
তার সেই পোস্টকে ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়েছে। স্মিতা লিখেছেন, যারা বিশেষভাবে সক্ষম তাদের সম্মান দিয়ে বলছি, কখনো দেখেছেন, কোনো বিমান সংস্থা আপনাদের মত কাউকে পাইলট হিসেবে নিযুক্ত করেছে? কোনো বিশেষভাবে সক্ষম কাউকে দেখেছেন সার্জেন্ট হিসেবে অপারেশন করছেন বা আপনি তাকে বিশ্বাস করবেন? তাহলে আইএএস, আইপিএস অফিসার নিয়োগের ক্ষেত্রে সংরক্ষণের(Reservation) যৌক্তিকতা কি ঠিক আছে? কারণ এই কাজের জন্য শারীরিক সক্ষমতা প্রয়োজন হয়। ঘন্টার পর ঘন্টা বাইরে কাজ করতে হয় এবং বাইরে বাইরে বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয়।
আরও পড়ুনঃ স্তব্ধ আলুর জোগান! আতান্তরে মধ্যবিত্ত
তেলেঙ্গানা ফিনান্স কমিশনের মেম্বার সেক্রেটারি আইএএস অফিসার স্মিতা সবরওয়াল বিশেষভাবে সক্ষমদের নিয়ে এই পোস্টটি করেছেন। স্মিতা আসলে বাংলার মেয়ে। দার্জিলিং এ জন্মগ্রহণ করেন। তিনি দেশের সবচেয়ে কনিষ্ঠতম মহিলা আইএএস অফিসার হিসেবে মাত্র ২২ বছর বয়সে ইউপিএসসিতে সাফল্য পেয়েছিলেন তিনি। ট্রেনি আইএএস অফিসার পূজা খেদকারের ওই বিষয় নিয়ে দিন কয়েক আগে স্মিতা সরব হন।
ইউপিএসসি পূজার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার পরে স্মিতা বলেন, আবার আইএএস আইপিএস অফিসারদের উপর মানুষের বিশ্বাস ফিরে আসবে। এই সমস্যা পরবর্তীকালে আর হবে না বলেই তিনি আশা করেছেন। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে নথি যাচাইয়ের ক্ষেত্রে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। তবে স্মিতার এই পোস্টকে অনেকে শেয়ার করে কটাক্ষ করেছেন। কেউ তাকে অহংকারী বলেছেন, আবার কারো মতে একজন আইএএস অফিসারের কাছে এই আচরণ সত্যিই কষ্ট দেয়। ফলে আইএএস অফিসার স্মিতার এই সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।