রাজীব ঘোষ: দেশজুড়ে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো বেকারত্ব (Unemployment) যদি কোনো দেশ বা রাজ্যের মানুষের হাতে কাজ না থাকে, কর্মসংস্থানের জায়গা তৈরি না হয়, তাহলে কোনোভাবেই সেই দেশ বা রাজ্য উন্নয়নের পথে এগিয়ে যেতে পারে না। ধীরে ধীরে সেই দেশ বা রাজ্যের পরিস্থিতি যথেষ্ট খারাপ দিকে চলে যায়। তাই কর্মসংস্থানের সমস্যা মেটানোই এই মুহূর্তে যেকোনো সরকারের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। এই মুহূর্তে বহু যুবক-যুবতী আছেন যারা উচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতার ডিগ্রি নিয়ে একেবারে বেকার বসে আছেন। সেই দিকে লক্ষ্য রেখে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে কয়েকটি স্কিম নিয়ে আসা হয়েছে। যাতে আর্থিকভাবে সেই স্কিমের(Scheme) মাধ্যমে সাহায্য পেয়ে তারা স্বনির্ভর হতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বেশ কয়েকটি যোজনার সূচনা করেছেন। তার মধ্যে প্রথমেই বলা যেতে পারে, প্রধানমন্ত্রী স্বনিধি যোজনা(PM Svanidhi Yojana)
এই যোজনার মাধ্যমে কোনোরকম গ্যারান্টি ছাড়াই যে সমস্ত মানুষ রাস্তায় বা ফুটপাতে হকারি করেন, বিভিন্ন সামগ্রী বিক্রি করেন, তাদের ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত লোন দেওয়া হয়। তার জন্য কোনো কিছুই ব্যাংকের কাছে বন্ধক রাখতে হবে না। কর্মসংস্থান বাড়ানোর জন্য এবং দেশের মানুষের আয় বাড়ানোর লক্ষ্যে ২০২০ সালে প্রধানমন্ত্রী স্বনিধি যোজনা(PM Svanidhi Yojana) শুরু করে মোদি সরকার। তিনটি কিস্তিতে ঋণ পাওয়া যায়। ১২ মাসের মধ্যে টাকা ফেরত দিতে হবে। প্রথমে ১০ হাজার ঠিক মতো শোধ হলে তারপরে ২০ হাজার এবং পরবর্তীতে ৫০০০০ টাকা পর্যন্ত লোন পাওয়া যায়।
আরও পড়ুনঃ টেসলা বিয়ার ভারতে! কিনতে গেলেই পকেট ফাঁকা
এরপরে বলা যেতে পারে, প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা(PM Mudra Yojana): এই প্রকল্পের মাধ্যমে ব্যবসা করতে চাইলে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জামানত মুক্ত ঋণ মিলতে পারে। যদি প্রয়োজনীয় টাকা নিজের কাছে না থাকে, আর নিজের ব্যবসা শুরু করতে চান, তাহলে সে ক্ষেত্রে সরকারের এই প্রকল্পের মাধ্যমে ব্যবসা শুরু করা যায়। এই প্রকল্পটি আবার ৩ ভাগে ভাগ করা হয়েছে। শিশু ঋণ- এতে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ পাওয়া যায়। কিশোর ঋণ- ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন দেওয়া হয় এবং তরুণ ঋণ- এতে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত পাওয়া যায়।ফলে যেকোনো ব্যক্তি স্বনির্ভর হতে চাইলে এই প্রকল্পের মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা পেতে পারেন।