রাজীব ঘোষ: ভোট মিটতেই বিজেপি দলের ভিতরে শুরু হয়ে গিয়েছে ডামাডোল পরিস্থিতি। বঙ্গ বিজেপির রাজ্য স্তরের নেতাকর্মীরা একে অপরকে দোষারোপ করতে শুরু করেছেন। সেই পরিস্থিতি এমন জায়গায় গিয়ে এখন পৌঁছেছে যে ফের বিজেপির পক্ষে ঘুরে দাঁড়ানো যথেষ্ট কষ্টকর। ওদিকে আবার একুশে জুলাইয়ের সভার পর তৃণমূল শিবির উচ্ছ্বসিত। ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের সমীক্ষা থেকেও জানা গিয়েছিল, পশ্চিমবঙ্গে(WB) হয়তো প্রথম রাজনৈতিক দল হতে পারে বিজেপি(BJP)। অন্তত কমবেশি ৩০ টির কাছাকাছি আসনে তারা জয় লাভ করতে পারে।
কিন্তু ফল বেরোতেই দেখা গেল, ৪২ টি আসনের মধ্যে ২৯ টি ছিনিয়ে নিয়েছে তৃণমূল। পাশাপাশি ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপ নির্বাচনেও বিজেপির ভরাডুবি হয়েছে। ২০১৯ সালে বিজেপি পেয়েছিল ১৮টি আসন। আর ২৪ এর লোকসভায় ৬টি কমে গিয়ে সেটা হল ১২ আর তারপর থেকেই রাজ্য স্তরের নেতারা একে অপরকে দোষারোপ করতে শুরু করেছেন। দিলীপ ঘোষ(Dilip Ghosh) প্রথমেই মুখ খুলেছেন। তিনি দলের নেতৃত্বের দিকে আঙুল তুলে অভিযোগ করেছেন। সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করার ফলেই আজ এই অবস্থা।
কাঠিবাজির অভিযোগ করেছেন দিলীপ। শুভেন্দু অধিকারী(Suvendu Adhikari) বলছেন, সংগঠনের দায়িত্বে তিনি নেই। তিনি বিরোধী দলনেতা। ওদিকে আবার রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলছেন, সংগঠন ২৫ শতাংশ কাজ করে নির্বাচনে, বাকিটা জনসমর্থনের ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে হয়। ফলে প্রত্যেকের মধ্যেই স্ববিরোধী কথাবার্তা বা কোনোভাবে এই পরিস্থিতিকে এড়িয়ে যাওয়ার একটা চেষ্টা। লোকসভা নির্বাচনে বাংলা জুড়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা ছিল প্রচুর। কিন্তু তাও কেন এরকম হলো?
আরও পড়ুনঃ মাথায় হাত জিও,এয়ারটেল, ভিআইয়ের, জলের দরে নয়া রিচার্জ প্ল্যান বেচছে BSNL
এখানে আবার একটা কথা না বললেই নয়। কেন্দ্রীয় বাহিনী যত সংখ্যক নিয়ে আসা হোক না কেন, সেই CAPF পরিচালনা করা হয় স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে। আর এখানে বিরোধী বিজেপির অভিযোগ, পুলিশ প্রশাসন তৃণমূলের হয়ে কাজ করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের ঠিকভাবে ব্যবহার করেনি। এটা অবশ্য বাস্তবেও দেখা গিয়েছে। বহু জায়গায় বিজেপির প্রার্থীরা ঢুকতেই পারেননি। তাদেরকে ঘিরে ধরে রীতিমতো এলাকায় ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছে। তারপরেও সেই ঘটনাস্থলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের দেখা মেলেনি। আসলে রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন এবং তাদের অফিসাররা কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঠিক সময়ে সঠিক জায়গায় নিয়ে যাননি বলেই অভিযোগ বিজেপির। এবার আগামীতে গেরুয়া শিবির ঘুরে দাঁড়াতে পারে কিনা সেটাই দেখার বিষয়।