Krishak Bandhu: ঘরে বসে অনলাইনে আবেদন করলেই অ্যাকাউন্টে ঢুকবে টাকা, কীভাবে করবেন, দেখুন

Published On:
লেটেস্ট আপডেট সবার আগে Join Now

রাজীব ঘোষ: এতদিন পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ সরকারের(West Bengal Government) এই প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করে সুবিধা পেতে গেলে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে(Duare Sarkar) গিয়ে ফরম ফিলাপ করে যাবতীয় তথ্য পূরণ করে জমা দিতে হতো। অনলাইনে(Online) এই প্রকল্পে আবেদন করার সুবিধা ছিল না। তবে এবার পশ্চিমবঙ্গ সরকার অনলাইনে এই প্রকল্পে আবেদন করার সুযোগ নিয়ে এসেছে। প্রকল্পটি হলো পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কৃষক বন্ধু প্রকল্প (Krishak Bandhu Prakalpa)
এবার থেকে ঘরে বসেই(Sitting at home) অনলাইনে মোবাইল, ট্যাব বা ল্যাপটপের মাধ্যমে আপনি সরাসরি কৃষক বন্ধু(Krishak Bandhu) প্রকল্পে আবেদন করতে পারবেন। এবার দেখে নেওয়া যাক, কিভাবে আবেদন করবেন:

প্রথমেই Krishakbandhu.net গুগলে সার্চ করে এই ওয়েবসাইটে যেতে হবে।

এখানে রেজিস্ট্রেশন ফর্ম অপশনে ক্লিক করে ফর্মটি ডাউনলোড করে নিতে হবে।

ভোটার কার্ডের নম্বর দিয়ে সার্চ করতে হবে।

এরপর মোবাইল নম্বর দিয়ে Get OTP অপশনে ক্লিক করলে ওটিপি আসবে। সেই নম্বর দিয়ে Confirm OTP অপশনে ক্লিক করতে হবে।

পিএম কিষান প্রকল্পে নাম অন্তর্ভুক্ত থাকলে সেখানে Self Declaration জায়গায় Yes অথবা No অপশনে ক্লিক করতে হবে।

যদি পিএম কিষান প্রকল্পে নাম থাকে, তাহলে Yes অপশনে ক্লিক করে Self Declaration Upload করতে হবে।

আরও পড়ুনঃ বাজার ধরে রাখতে একেবারে জলের দরে ৩ টি রিচার্জ প্ল‍্যান, এক্ষুনি রিচার্জ করুন

এরপর কৃষকের দ্বিতীয় মোবাইল নম্বর এবং ইমেইল আইডি দিতে হবে।

আধার কার্ডের ছবি এবং নম্বর যথাস্থানে বসিয়ে দিতে হবে।

কৃষকের একটি ছবি আপলোড করতে হবে।

কৃষকের নাম ইংরেজিতে ক্যাপিটাল লেটারে লিখতে হবে। তাছাড়া বাংলাতেও কৃষকের নাম লিখতে হবে। যে নাম জমির রেকর্ডে আছে, হুবহু সেই নামটি লিখতে হবে।

এরপর নাম, জন্মতারিখ, লিঙ্গ, কাস্ট সম্পূর্ণ তথ্য দিতে হবে।

Type of Farmer অপশনে ক্লিক করে যদি নিজের নামে জমি থাকে, তাহলে Owner অপশনে ক্লিক করতে হবে। বর্গাদার হলে বর্গাদার অপশনে ক্লিক করতে হবে। আর পাট্টা নেওয়া থাকলে পাট্টাদার অপশনে ক্লিক করতে হবে।

কৃষকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের ডিটেলস দিতে হবে। ব্যাংকের নাম, ব্রাঞ্চ, অ্যাকাউন্ট নম্বর, আইএফএসসি কোড সহ যাবতীয় তথ্য পূরণ করতে হবে।

এরপর পুরো ঠিকানা, জেলা, ব্লক, গ্রাম পঞ্চায়েত, গ্রামের নাম, থানা, পিনকোড সহ সম্পূর্ণ তথ্য দিতে হবে।

ত্রিশক্তির ঘরে ল্যান্ড ডিটেলস জমা দিতে হবে।

জমির সম্পূর্ণ বিবরণ– জেলার নম্বর, জমির খতিয়ান টাইপ এবং নম্বর, জমির পরিমাণ এবং রেকর্ড, নির্দিষ্ট ঘরে বসিয়ে সম্পূর্ণ তথ্য আপলোড করতে হবে।

এবার সেলফ ডিক্লারেশন অপশনে টিক দিয়ে ক্লিক করে ডকুমেন্ট আপলোড করতে হবে।

কৃষকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের প্রথম পাতার ছবি আপলোড করতে হবে।

যদি একাধিক মৌজায় একাধিক জমি থাকে, তাহলে অ্যাড ল্যান্ড ডিটেলস অপশনে ক্লিক করে সম্পূর্ণ তথ্য দিতে হবে।

একেবারে শেষ পর্যায়ে ক্রিয়েট ফার্মার অপশনে ক্লিক করে অপশনটি সিলেক্ট করলেই আবেদন সম্পূর্ণ হয়ে যাবে।

রাজ্য সরকারের কৃষক বন্ধু প্রকল্পে ৪০ ডেসিমেল পর্যন্ত জমি থাকলে বছরে ৪০০০ টাকা এবং ১ একর বা তার বেশি জমি থাকলে বছরে ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। মূলত বছরে দুইবার খরিফ এবং রবি শস্য চাষের সময়ে এই টাকা দেওয়া হয়ে থাকে।