রাজীব ঘোষ: বেশি দিনের কথা নয়, কিছুদিন আগেই নির্বাচনের পূর্বে দলের প্রচারকদের তালিকা থেকে নাম বাদ গিয়েছিল কুণাল ঘোষের(Kunal Ghosh)। শুধু তাই নয়, তৃণমূল(TMC) একেবারে দলীয় মুখপাত্রের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছিল কুণালকে। তারপরে জল গড়িয়েছে বহুদূর। বিভিন্ন নেতাদের মাধ্যমে ফের তৃণমূলে আগের ফর্মে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু এবার দেখা গেল, বিজেপি(BJP) নেতা এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর(Suvendu Adhikari) প্রশংসায় হঠাৎ পঞ্চমুখ হয়ে উঠলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। দিন দুয়েক আগেই বিজেপির কার্যকারিনী বৈঠকে শুভেন্দুর মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়ে যায়। আর সেই প্রশ্নেই রাজ্যজুড়ে বিজেপির অন্দরে একটা চাপা কলহ চলছে।
এবার বিজেপির অন্দরের সেই গুঞ্জনে একটু অন্য মাত্রা ছড়িয়ে দিতেই কি কুণালের এই পদচারণা? এক সাংবাদিক বৈঠকে কুণাল বললেন, বিজেপির নেতা হিসেবে তৃণমূলের সঙ্গে লড়াইয়ের প্রশ্নে সুকান্ত, শমিক থেকে শুরু করে অন্যান্য সমস্ত বিজেপি নেতাদের থেকে বহুগুণ এগিয়ে শুভেন্দু অধিকারী। যদিও শুভেন্দুর হার নিশ্চিত বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। কিন্তু ওই বৈঠকে কুণাল আরো বলেন, বিজেপি নেতা বা বিরোধী নেতা হিসেবে সুকান্ত বা এরা যারা আছেন, তৃণমূলের সঙ্গে লড়াইয়ের প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী ঢের এগিয়ে। এরা সবাই মিলেও কি শুভেন্দুকে পাল্লা দিতে পারবে? শুভেন্দু তৃণমূলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। তবে শুভেন্দু চারটি খারাপ কথা তৃণমূলকে আক্রমণ করে বললে তার জবাব দেওয়া যায়। বাকিদের তো কোন নম্বরই দিই না।
এখানেই থেমে থাকেননি। কুণাল বলেন, তৃণমূলে ছিলেন শুভেন্দু, গেছেন বিজেপিতে। বিজেপির একটা তথাকথিত লাইন আছে। সমস্ত ভাওতাবাজি আছে। চট করে তার কিছু উল্টো বলেছেন। তবে এটা হতে পারে, বিজেপির লাইনটা যেটা শাক দিয়ে মাছ ঢাকার লাইন, শুভেন্দু উগ্র ধর্মের কথা বলছেন।বিজেপির আমরা সকলকে নিয়ে চলি, ওই শাক দিয়ে মাছ ঢাকা। শুভেন্দু হঠাৎ ওই শাকটা সরিয়ে মাছটা প্লেটের উপরে বসিয়ে দিয়েছেন। উগ্র সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে বিজেপি। সুকান্ত মজুমদাররা যে কোটিং দিতে চান সেটা থেকে বেরিয়ে শুভেন্দু বিজেপির যে অরিজিনাল লাইন, ধর্ম নিয়ে মানুষকে মেরুকরণ করা সেটাই তার মুখ থেকে বেরিয়ে গিয়েছে।
আর বিজেপির দুর্বল সংগঠনের কথা কি বলছেন? যার সংগঠনই নেই তার আবার দুর্বল কি? শুভেন্দু আমাদের বিরোধী। শুভেন্দুর বিরুদ্ধে তৃণমূলের লড়াই চলছে চলবে। আমাদের নেতাকর্মীরা বিজেপির বিরুদ্ধে লড়বেন। তবে বিজেপিতে যা নেতা আছেন তার থেকে শুভেন্দু অনেক এগিয়ে। বিজেপির মুখোশটা শুভেন্দু অধিকারী খুলে দিয়েছেন। সাংবাদিক বৈঠকে এইভাবেই শুভেন্দুর প্রশংসা করে কি অন্য কোনো বার্তা দিতে চাইলেন কুণাল?