কোটা বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে উত্তাল বাংলাদেশ। রাজধানী ঢাকা সহ চট্টগ্রাম, রংপুর প্রভৃতি অঞ্চলে হাজার – হাজার ছাত্র – ছাত্রী পথে নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। ছাত্রদের বিক্ষোভে প্রায় ৬ ঘণ্টার জন্য আটকে যায় মৈত্রী এক্সপ্রেস, এমনকি ছাত্র – ছাত্রীদের পক্ষ থেকে ১ ঘণ্টার চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল পুলিশকে। যেন তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্ত্বর ছেড়ে যায়। সবমিলিয়ে পরিস্থিতি পুলিশ প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। এই অবস্থায় একপ্রকার বাধ্য হয়ে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হল। জানানো হয়েছে, ১৭ জুলাই থেকে পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত বাংলাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। একইসঙ্গে বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা হয়েছে ছাত্র – ছাত্রীদের আবাসিক হলগুলি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য এই প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘সকল নিহত এবং আহত শিক্ষার্থীদের প্রতি আমাদের সমবেদনা। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে আজ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় সহ অন্যান্য শিক্ষাকেন্দ্র ছুটি ঘোষণা করা হল। সেইসঙ্গে ছাত্র – ছাত্রীদের আজ সন্ধ্যা ৬ টার আগে আবাসিক হল ছেড়ে নিজেদের বাড়ি যাওয়ার অনুরোধ করা হচ্ছে।’ তবে আন্দোলনকারী ছাত্র – ছাত্রীদের বক্তব্য তাদের আন্দোলনকে দমাতেই শিক্ষাকেন্দ্রগুলিতে ছুটি ঘোষণা করা হল। প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিনে ছাত্রলীগ এবং পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারী ছাত্র -ছাত্রীদের সংঘর্ষের ঘটনায় ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। জানা গেছে, ইতিমধ্যে আন্দোলনকারী ছাত্ররা ছাত্রলীগের সদস্যদের আবাসিক হলগুলি থেকে বের করে দিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ আবার যুদ্ধ হবে! ভারত করবে কি?
এদিকে আজ রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে আন্দোলনকারীরা কফিন মিছিল করে পুলিশি আচরণের প্রতিবাদ করেন তীব্র প্রতিবাদ করেন। বাংলাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হলেও ছাত্র আন্দোলন যেভাবে ছড়িয়ে পড়েছে তা সরকার কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করে সেটাই এখন দেখার।