স্বপ্নীল মজুমদার: যে কোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রামের প্রাথমিক স্কুলের ভবন। বার বার প্রশাসন ও স্কুল শিক্ষা দফতরকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। মঙ্গলবার স্কুলের সব পড়ুয়াদের নিয়ে অভিভাবকরা হাজির হলেন জেলা শাসকের দফতরে। পড়ুয়াদের হাতে ছিল প্লাকার্ড। তাতে লেখা ছিল ‘জরাজীর্ণ প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন অবিলম্বে বাতিল করে নতুন ভবন তৈরি করতে হবে।’ ঘটনাটি ঝাড়গ্রাম(Jhargram) জেলার বেলিয়াবেড়া(Beliyabera)থানার (গোপীবল্লভপুর-২ ব্লক) নোটা(NOTA) পঞ্চায়েতের জামুয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের(Jamuya praymari School)।
স্কুলের ছাত্রছাত্রী সংখ্যা ৪০ জন। শিক্ষক আছেন তিনজন। অভিভাবকদের অভিযোগ, যে কোনও সময় জরাজীর্ণ স্কুল ভবনটি ভেঙে পড়তে পারে। বৃষ্টি হলে স্কুলের ছাদ দিয়ে জল পড়ে ক্লাস রুম ভিজে যায়। স্কুল ভবনের দুর্বল ছাদটি বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। অভিভাবকরা জানালেন, ভয়ে ভয়ে ছেলে মেয়েদের স্কুলে পাঠান তাঁরা। ভবরের বাইরে পঠনপাঠন হয়। বৃষ্টি হলে স্কুল ছুটি করে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুনঃ স্কুলে ঢুকতে পারে না শিশুরা, প্রাণ ভয়ে ক্লাস মন্দিরে
অনেকবার প্রশাসনিক মহলে জানিয়ে সুরাহা হয়নি। শেষ পর্যন্ত অভিভাবক ও গ্রামবাসী মিলে জামুয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় সুরক্ষা কমিটি গঠন করা হয়। তারপর এদিন দুপুরে জেলা শাসকের দফতরের বাইরে নতুন ভবনের দাবিতে জমায়েত করে বিক্ষোভ দেখায় অভিভাবক ও ছাত্রছাত্রীরা। জেলা শাসকের দফতরে প্রতিনিধিমূলক ডেপুটেশন দেওয়া হয়। পরে জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের কার্যালয়ের বাইরেও বিক্ষোভ দেখানো হয়। সংসদের চেয়ারম্যান জয়দীপ হোতা কার্যালয়ে না থাকায় জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক সৌমেনচন্দ্র লাহাকে ডেপুটেশন দেওয়া হয়। তিনি বলেন, আপাতত ভবন সংস্কারে উদ্যোগ করা হবে। নতুন ভবন তৈরির জন্য জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে রাজ্য সরকারের কাছে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।