রাজীব ঘোষ: চাকরি বাতিলের মামলার শুনানি পিছিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট(Supreme Court)। যে প্রায় ২৬০০০ শিক্ষক এবং শিক্ষা কর্মীদের চাকরি-বাতিলের মামলা শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্টে উঠেছিল মঙ্গলবার, সেই মামলা আরো ৩ সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। অর্থাৎ আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহের দিকে এই ২৬০০০ শিক্ষক এবং শিক্ষা কর্মীর চাকরি বাতিলের মামলা ফের শুনানির জন্য উঠবে।
এদিন সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকারের তরফে আইনজীবী ছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সুপ্রিম কোর্ট শুরুতেই জানিয়ে দেয়, এই মামলার বিষয়ে নির্দেশ দেওয়ার আগে সকলের বক্তব্য শোনার প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে ৫ পক্ষের কথা সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়। ১. রাজ্য সরকার ২.এসএসসি ৩.মূল মামলাকারী ৪. চাকরিহারা এবং ৫. সিবিআই। এই ৫পক্ষকে আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যেই হলফনামা জমা দিতে হবে।
আরও পড়ুনঃ IIT Kharagpur: বৈপ্লবিক পদক্ষেপ আইআইটির,গবেষণায় নয়া দিশার সন্ধানে MOU চুক্তি
২৫ হাজার ৭৫৩ জন শিক্ষক এবং শিক্ষা কর্মীর চাকরি বাতিল সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায়ের উপরে সুপ্রিম কোর্ট এর আগেই স্থগিতাদেশ জারি করে। পাশাপাশি রাজ্য সরকারের নিউমেরিক পোস্ট তৈরি করার সিদ্ধান্তের উপর সিবিআই তদন্তের যে নির্দেশ হাইকোর্ট দিয়েছিল, তার উপরেও স্টে অর্ডার দেয় সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার মামলার শুনানি শুরু হলে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, নোডাল কাউন্সিল হিসেবে আইনজীবী আস্থা শর্মাকে নিয়োগ করা হলো। এছাড়াও অন্য পক্ষের থেকে নোডাল কাউন্সিল নিয়োগ করা হবে। সে ক্ষেত্রে পাঁচ পক্ষকেই দুই সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা পেশ করতে হবে। এছাড়াও অন্য কোনো পক্ষ যদি এই চাকরি বাতিল সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা পেশ করতে চায়, তাহলে ৫ পাতার মধ্যে সেই হলফনামা নোডাল কাউন্সিলের কাছে পেশ করতে হবে। ফলে এদিন সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, আগামী তিন সপ্তাহ পর বা আগস্টের প্রথম সপ্তাহে এই চাকরি বাতিল সংক্রান্ত মামলা শুনানির জন্য ফের শীর্ষ আদালতে উঠবে।