রাজীব ঘোষ: ভারতীয় রেলকে(Indian Railways) লাইফ লাইন বলা হয়। তার মূল কারণ, দেশে যত ধরনের পরিবহন ব্যবস্থা রয়েছে, তার মধ্যে সর্বোত্তম এবং দুর্দান্ত হচ্ছে ইন্ডিয়ান রেলওয়ে (Indian Railways) আর ট্রেনে ভ্রমণ করার আনন্দই আলাদা। ফলে দেশের অধিকাংশ মানুষই যাতায়াতের সবচেয়ে বড় এবং জনপ্রিয় মাধ্যম হিসেবে ট্রেনকেই ব্যবহার করে থাকেন। সে নিত্যদিনের অফিস যাত্রাই হোক, তার জন্য রয়েছে লোকাল ট্রেন, কিংবা দূরবর্তী কোনো জায়গায় কোনো প্রয়োজনে বা বেড়াতে যাওয়ার জন্য রয়েছে এক্সপ্রেস, মেল ট্রেন। নিত্য আধুনিক হচ্ছে ট্রেন পরিষেবা। কত কম সময়ের মধ্যে দেশের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে পৌঁছে যাওয়া যায়, প্রায় প্রতিদিনই ভারতীয় রেলওয়ে সেই প্রচেষ্টা করে চলেছে।
তবে রেলওয়ের একটি বদনামও রয়েছে। তা হল ট্রেন কি ঠিক সময়ে ছাড়বে? কতক্ষণ লেটে চলছে? আর এই অস্বাভাবিক দেরিতে চলাটা যেন মানুষ এক প্রকার নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। যার ফলে যাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ বিক্ষোভ দানা বাঁধছিল। ট্রেনে যাত্রী সংখ্যা দিনের পর দিন বাড়লেও সেই ভাবে পাল্লা দিয়ে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ছে না। তাই এই লেট মার্কের বদনাম ঘোচানোও যাচ্ছেনা। তবে এবার পূর্ব রেলওয়ে (Eastern Railway) গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করেছে। ইস্টার্ন রেল জোনের অধীনে চারটি ডিভিশনে ১৪৩ টি পয়েন্ট মেশিন বদল করা হয়েছে। আর এর ফলে দূরপাল্লার ট্রেন কিংবা লোকাল ট্রেন দ্রুত ট্র্যাক বদল করে যাতে গন্তব্য পৌঁছতে পারে, তার জন্য অটোমেটিক সিস্টেম তৈরি করা হয়েছে। পয়েন্ট মেশিন বলতে বোঝায় যেখানে ট্রেনগুলি Track বদল করে। আর এর মাধ্যমে কন্ট্রোল রুম থেকে অটোমেটিক ট্র্যাক বদল করা যাবে।
আরও পড়ুনঃ আজকের রাশিফল ১৩/৭/২০২৪
ইস্টার্ন রেলওয়ের তরফে এক বার্তায় জানানো হয়েছে, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির পয়েন্ট বসানো হয়েছে। চারটি ডিভিশনের পুরনো ১৪৩ টি পয়েন্টে বদল আনা হয়েছে। এই পয়েন্টগুলির মধ্যে রয়েছে, হাওড়া ডিভিশনে ১৮টি, মালদহ পিছনে ১টি, শিয়ালদহ পিছনে ৬টি এবং আসানসোল ডিভিশনে ১৮ টি পয়েন্ট। তার সঙ্গেই ১১০ কিলোমিটার লাইনের সিগন্যালিং তার বদল করা হয়েছে। ভারতীয় রেলের দাবি, এর ফলে সমস্ত ট্রেনের গতি আরো বাড়বে। আর আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়ার ফলে ট্রেন পরিষেবার মানও আগের তুলনায় যথেষ্ট ভালো হবে। দেশের অন্যান্য জায়গাতেও এই পয়েন্ট চেঞ্জ এর কাজ চলছে। ফলে আগামী দিনে ভারতীয় রেল আরো দ্রুত গতিতে ছুটতে চলেছে।