চোপড়ার ঘটনায় তৃণমূল নেতা তাজিমুলকে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। চোপড়া থানার পুলিশ ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন করলেও আদালত তা মঞ্জুর করেনি।
তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, মহিলার শ্লীলতাহানি সহ বিভিন্ন গুরুতর ধারায় অভিযোগ দায়ের করেছে পুলিশ। অন্যদিকে চোপড়ার ঘটনায় তৃণমূল বিধায়ক হামিদুর রহমানের বক্তব্যে বিতর্ক ছড়িয়েছে। তাজিমুল বিধায়কের ঘনিষ্ঠ বলেই দাবি বিরোধীদের। চোপড়ার ঘটনা সম্পর্কে তৃণমূল বিধায়ক হামিদুর বলেন, ‘ আমরা সবাই বলছি এটা অন্যায়। কিন্তু মেয়েটাও অন্যায় করেছে। আমাদের মুসলিম রাষ্ট্রে সামাজিক আচার – বিচার অনুযায়ী এমন হয়ে থাকে। তবে বিচারটা এবার বাড়াবাড়ি হয়ে গেছে। আমি ঘটনা সম্পর্কে খোঁজ নিয়েছি। আইন অনুযায়ী যা ব্যবস্থা হওয়ার হবে।’ এখানেই থেমে থাকেননি হামিদুর। তিনি বলেন, ‘মহিলা তো অন্যায় করেছে। ও স্বামী ছাড়া অসামাজিক কাজে জড়িয়ে পড়েছিল। সেই কারণে গ্রামে সালিশি সভার আয়োজন করে বিচারের ব্যবস্থা হয়েছে। সেখানে কিছু ভুল হয়েছে, অস্বীকার করছি না। কিন্তু ওই মহিলা তো কোন অভিযোগ করেননি।’
আরও পড়ুনঃ রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর, চোপড়ার ঘটনায় গ্রেফতার শাসক ঘনিষ্ঠ
তৃণমূল বিধায়কের এই মন্তব্যের পরেই নিন্দায় সরব হয়েছে সমস্ত মহল। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, ‘এই কথায় স্পষ্ট তৃণমূল মনে করে এই দেশের মধ্যেই আলাদা একটা দেশ আছে। যেখানে ওদের আইন চলবে।’
গতকাল দুপুরে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক চোপড়ার একটি ভিডিও তার ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে শেয়ার করেন। পরে সেটি শেয়ার করেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত ম্যালব্য। সেখানে দেখা যায় এক তরুণ – তরুণীকে ফেলে পেটানো হচ্ছে। ভিডিওটি মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে গেলে নিন্দার ঝড় ওঠে সমাজমধ্যমে।