স্বপ্নীল মজুমদার (ঝাড়গ্রাম): হাতির হানায় জখম হলেন এক মহিলা সহ দু’জন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় দু’জনেই ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শুক্রবার সকালে ঝাড়গ্রাম ব্লকের শালবনি অঞ্চলের লাউড়িয়াদাম গ্রামের লাগোয়া জঙ্গলে শালপাতা তুলতে গিয়ে হাতির হানায় জখম হন বছর একষট্টির বৃদ্ধা শকুন্তলা রাউত।
এলাকাটি মানিকপাড়া রেঞ্জের কুসুমঘাটি বিটের অন্তর্গত। বন দফতর ও স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকাল ১১ টা নাগাদ লাউড়িয়াদাম এলাকার একটি বন্ধ রাইস মিলের পিছনের জঙ্গলে প্রতিবেশী মহিলাদের সঙ্গে জঙ্গলে পাতা সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন শকুন্তলা। ওই সময় একটি হাতির সামনে পড়ে যান শকুন্তলা। হাতিটা তাঁকে শুঁড়ের আঘাতে জখম করে। হইহল্লা করে হাতিটিকে তাড়িয়ে স্থানীয়রা শকুন্তলাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
আরও পড়ুনঃ স্তন্যপানের সময় শ্বাসরুদ্ধ হয়ে এক মাসের শিশু কন্যার মৃত্যু
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঝাড়গ্রাম ব্লকের সাপধরা অঞ্চলের পুকুরিয়া গ্রামে হাতির হানায় জখম হন রান্টু নায়েক নামে এক বৃদ্ধ। স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে হাতির মুখোমুখি পড়ে যান রান্টু। হাতি দেখে পালানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন তিনি। হাতিটি তাঁকে শুঁড় দিয়ে পেঁচিয়ে ধরে তুলে আছাড় মারলে তিনি গুরুতর আহত হন। চিৎকার শুনে বাড়ির লোকজন প্রতিবেশীরা হাতিটিকে তাড়া করে খেদিয়ে রান্টুকে উদ্ধার করেন। ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাঁকে।
বন দফতরের দাবি, স্থায়ী হাতি গুলি ঝাড়গ্রাম, লোধাশুলি ও মানিকপাড়া রেঞ্জ এলাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। হাতি গুলি ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকার কারণে একসঙ্গে সেগুলিকে এলাকা থেকে সরানো সম্ভব হচ্ছে না। বন দফতর জানিয়েছে, মাইকে প্রচার করে বাসিন্দাদের সতর্ক করা হচ্ছে। হাইতদের গতিবিধির উপর নজর রাখা হচ্ছে। ডিএফও (ঝাড়গ্রাম) পঙ্কজ সূর্যবংশী বলেন, ‘‘পৃথক দু’টি ঘটনায় হাতির আক্রমণে মহিলা সহ দু’জন আহত হয়েছেন। আহতদের ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হচ্ছে।”