স্বপ্নীল মজুমদার~ পঞ্চায়েতের কাজের বরাত পেয়ে ঢালাই রাস্তা বানিয়েছিলেন এক ঠিকাদার। কাজ শেষ হওয়ার পর বিল জমা দিয়েছিলেন পঞ্চায়েত কার্যালয়ে। পঞ্চায়েতের তরফে চেক-এর মাধ্যমে ওই ঠিকাদারের বিল মেটানো হয়। কিন্তু ঠিকাদার ব্যাঙ্কে ওই চেক জমা দেওয়ার পর বাউন্স হয়। ঘটনাটি ঝাড়গ্রাম ব্লকের মানিকপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের।
ঠিকাদার অমল মাহাতোর অভিযোগ, বিষয়টি পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষকে জানানো সত্ত্বেও কোনও সুরাহা হয়নি। পুরো ঘটনাটি লিখিতভাবে ঝাড়গ্রামের বিডিও-র কাছে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন ওই ঠিকাদার। পঞ্চায়েতের অ্যাকাউন্টে টাকা না থাকা সত্ত্বেও কেন ওই অমলকে ২ লক্ষ ৫৭ হাজার ৫৬৬ টাকার চেক দেওয়া হয়েছিল সেই প্রশ্নও উঠেছে।
আরও পড়ুনঃ দশ বছর আগে শাড়ির ফাঁসে আত্মঘাতী হন মা, এবার ছেলেও আত্মহত্যা করলেন গামছায় ফাঁস লাগিয়ে
তবে তৃণমূলের ক্ষমতাসীন ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের কাজকর্ম নিয়ে নানা অভিযোগ রয়েছে এলাকায়। পঞ্চায়েতের একাংশ অনৈতিক কাজকর্মে জড়িয়ে পড়ছেন বলে এর আগেও সরব হয়েছিলেন বিরোধীরাও। ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাহী সহায়ক কবির মুনসির ভূমিকা খতিয়ে দেখার দাবি করেছেন ওই ঠিকাদার। কবির নিয়মিত পঞ্চায়েত অফিসে আসেন না। সাধারণ মানুষজনের সঙ্গে অত্যন্ত দুর্ব্যবহার করেন তিনি।
যদিও মানিকপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শত্রুঘ্ন মাহাতো বলছেন, ‘‘ভুলবশত অন্য অ্যাকাউন্টের চেক দেওয়া হয়েছিল। সংশোধন করে দেওয়া হবে। অভিযোগ ভিত্তিহীন।’’ বিডিও জয় আমেদ অভিযোগপত্র খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।