আইআইটি খড়গপুরের (IIT Kharagpur) ছাত্র-মৃত্যুর ঘটনায় ফের সিবিআই তদন্তের দাবি। খড়গপুর আইআইটির হোস্টেলের ঘর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় অসমের বাসিন্দা ছাত্রের দেহ উদ্ধার হয়। মামলা উঠেছে কলকাতা হাইকোর্টেও। এবার সিবিআই তদন্ত চেয়ে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা চিঠি লিখেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
ঘটনাটি ২০২২ সালের অক্টোবর মাসের। আইআইটি খড়গপুরের হোস্টেলের ঘর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ফাইজান আহমেদের মৃতদেহ। অসমের তিনসুকিয়ার বাসিন্দা ছিলেন তিনি। দু’বছর পর দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের পরে সামনে আসে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। দ্বিতীয়বারের ফরেন্সিক রিপোর্ট সামনে আসতে দাবি করা হয়, আত্মহত্যা নয় বরং খুন করা হয়েছিল ফাইজানকে।
আরও পড়ুনঃ জলপানের সময় সাপের ছোবলে মৃত্যু
ফাইজানের মৃত্যুর পর থেকেই তাঁর পরিবার অভিযোগ তুলতে থাকে, সে আত্মহত্যা করেনি। বরং সে ছিল র্যাগিং-এর শিকার এবং অবশেষে তাঁকে খুন করা হয়েছিল। কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় পরিবার। কলকাতা হাইকোর্ট ২০২৩ সালের মে মাসে দ্বিতীয়বারের জন্য ময়নাতদন্তের আদেশ দেয়। তারপরেই গঠন করা হয় বিশেষ তদন্তকারী দল। তদন্তকারীরা বেশ কিছু নমুনা পাঠান ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য। ফাইজানের প্রথম ময়নাতদন্ত হয়েছিল মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে। ফাইজানের মা একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, ১১ অক্টোবরের রাতে শেষবারের মত ফাইজান ফোনে কথা বলেছিলেন তাঁর পরিবারের সঙ্গে। এরপর আর কোন ফোন আসেনি তাঁর। তিনি আরও জানান, কলেজের পক্ষ থেকে নাকি মৃত্যুর কোন খবরই দেওয়া হয়নি তাঁদের, খবর দেন ফাইজানের বন্ধুরা।
দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন তরফে ফাইজানের মৃত্যু নিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি উঠছিল। এবার অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা চিঠি লিখেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। যদিও দু’বছর আগে তিনি এই ঘটনার সুষ্ঠ বিচার চেয়ে একবার চিঠি দিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে। তবে এইবারের চিঠির প্রতিপাদ্য বিষয় ভিন্ন। সরাসরি মৃত্যু-তদন্তের ভার সিবিআইকে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। ফরেন্সিক রিপোর্টের কথা উল্লেখ করেই তিনি লিখেছেন, ফাইজানের গলার ডানদিকে গুলির দাগের ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গিয়েছিল। পাওয়া গিয়েছিল কোপের দাগ। জানা গিয়েছে, দোষীরা যেন উপযুক্ত শাস্তি পায় সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনুরোধ করেছেন তিনি।