গরমের বলি এক স্কুল ছাত্রী? ঘটনাস্থল মেদিনীপুর (Medinipur)! স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে নয়াগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী পাপিয়া দে স্কুলে গিয়েছিল। স্কুলের প্রার্থনা চলাকালীন অসুস্থ বোধ করে সে। ক্লাসের অন্যান্যরা স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ঘটনার কথা জানালে তারা প্রথমে মুড়াকাটা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান ওই ছাত্রীকে, সেখান থেকে তাকে নিয়ে আসা হয় মেদিনীপুর সদর হাসপাতালে। চিকিৎসকরা সেখানেই মৃত ঘোষণা করেন ছাত্রীটিকে। এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে স্কুলের অন্যান্য ছাত্র – ছাত্রী এবং শিক্ষক – শিক্ষিকাদের মধ্যে।
গোটা দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে চলছে তীব্র দাবদাহ। আবহাওয়া দফতর আশার কথা শোনালেও আপাতত বৃষ্টির দেখা নেই। এই প্রবল গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকেই। চিকিৎসকরা শিশু এবং বৃদ্ধদের বারংবার সতর্ক করছেন। গরমে অসুস্থ হয়ে স্কুল পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনা আগেও ঘটেছে। কয়েকদিন আগেই পুরুলিয়া জেলার একটি স্কুলে মৃত্যু হয়েছিল এক দ্বিতীয় শ্রেনীর ছাত্রের। শিক্ষা দফতর থেকে স্কুলগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সকালে স্কুল করানোর। তারপরেও পরিস্থিতির বিশেষ উন্নতি হয়নি। এই অবস্থায় শিশুদের স্কুলে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন অভিভাবকরা। ফলে স্কুলগুলিতে কমছে উপস্থিতির হার।
মৃত ছাত্রীর এক আত্মীয় জানান, “মঙ্গলবার সকালে বোনের সঙ্গে স্কুলে এসেছিল পাপিয়া। বাড়িতে কোনরকম অসুস্থতার কথা জানায়নি সে। স্কুলে প্রার্থনা চলাকালীন হঠাৎই বুকে ব্যথা শুরু হয় পাপিয়ার। সহপাঠীদের ঘটনার কথা জানাতে তারা জল খাওয়ায় পাপিয়াকে। তারপরই পাপিয়া অজ্ঞান হয়ে পড়ে। তড়িঘড়ি স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা তাকে হাসপাতালে নিয়ে এলেও বাঁচানো যায়নি তাকে।”
পাপিয়ার বাবা ব্যবসা করেন, মা গৃহবধূ। বাড়িতে রয়েছে দুই দিদি। বাড়ির ছোট্ট মেয়েকে হারিয়ে শোকে পাথর পাপিয়ার বাবা – মা। যে বোন সকালে হাসতে হাসতে স্কুলে গেছে সে আর কখনও ফিরবে না, এ যেন বিশ্বাস করতে পারছে না পাপিয়ার দুই দিদি।