নচিকেতা লিখেছিলেন, ‘বারোটায় অফিস আসি, দুটোয় টিফিন।
তিনটেই যদি দেখি সিগন্যাল গ্রীন,
চটিটা গলিয়ে পায়ে, নিপাট নির্দ্বিধায়
চেয়ারটা কোনোমতে ছাড়ি।
কোনো কথা না বাড়িয়ে,
ধীরে ধীরে পা বড়িয়ে
চারটেয় চলে আসি বাড়ি।
আমি সরকারি কর্মচারী (Govermnent Job)…’
তবে সরকারি কর্মচারীদের এই দিন এবার শেষ হতে চলেছে। বহু সরকারি কর্মচারী অফিসের নির্দিষ্ট নিয়মের তোয়াক্কা করেন না। তারা অফিসে আসেন নিজের ইচ্ছামত। অনেকে আবার ঠিক সময়ে অফিসে এলেও ছুটির সময়ের আগেই বেরিয়ে পড়েন দ্রুত বাড়ি ফেরার আশায়। ফলে ব্যাঘাত ঘটে অফিসের কাজকর্মে। সেই কারণেই কেন্দ্র সরকারি কর্মচারীদের জন্য আনতে চলেছে একটি নয়া নির্দেশিকা। বেশ কিছুবছর আগে কেন্দ্রের তরফেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শুরু হয়েছিল বায়োমেট্রিক এটেনডেন্স সিস্টেম। কিন্তু কেন্দ্রের দাবি অনেক সরকারি কর্মচারী সেই নিয়ম মানতে চাইছেন না। ফলে এবার কেন্দ্র আনতে চলেছে ফেস অথেনটিক সিস্টেম, সেই সঙ্গে বলা হয়েছে জিও ট্যাগিংয়ের কথা। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের সমস্ত বিভাগে এই নতুন নির্দেশিকা পাঠিয়েও দেওয়া হয়েছে।
পার্সোনাল মিনিস্ট্রির তরফে এই প্রসঙ্গে জানানো হয়েছে সরকারি কর্মচারীরা মোবাইল ফোনের ফেস অথেনটিক সিস্টেমের মাধ্যমে তাদের অবস্থান জানাবেন। নির্দিষ্ট একটি পোর্টালে নথিবদ্ধ করা হবে তাদের অফিসে আসা এবং যাওয়ার সময়। দেরি হলে কাটা যাবে অর্ধেক দিনের সিএল। তবে ন্যায্য কারণে ১ ঘণ্টা পর্যন্ত দেরি হলে তা গ্রহণযোগ্য।
দেরিতে আসার মতোই অফিস থেকে কারণ ছাড়া আগে বেরোতেও পারবেন না সরকারি কর্মচারীরা। সমস্ত কর্মচারীর পদোন্নতির ক্ষেত্রে উপস্থিতি এবং সময়নিয়মানুবর্তিতা বিচার করা হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।