লোকসভা ভোটের ফলপ্রকাশ হয়েছিল ৪ জুন। তারপর থেকে রাজ্যে বিরাম নেই ভোট – পরবর্তী হিংসার। রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় আক্রান্ত হচ্ছেন বিরোধীরা। তবে শুধু বিরোধী নয়, বিভিন্নক্ষেত্রে আক্রান্ত হচ্ছেন শাসক দলের নেতারাও। কয়েকদিন আগেই উচ্চ আদালত হুশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছিল ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ন্ত্রণে না এলে আগামী পাঁচ বছরের জন্য রাজ্যে যাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকে তার ব্যবস্থা করা হবে। উচ্চ আদালতের এই হুশিয়ারির পরেও বদলায়নি ছবিটা। দিনকয়েক আগে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আক্রান্ত বিজেপি নেতা – কর্মীদের নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে গেলে পুলিশি বাধার মুখে ফিরতে হয় তাকেও। শেষপর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। রাজ্যে ভোট হিংসার অভিযোগ খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় দল পাঠাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি। এবার ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে রাজ্যকে তীব্র আক্রমণ করলেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।
সুকান্ত এদিন বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী কি চাইছেন? এবার তো বিজেপি কর্মীরা ওনার বাড়ির সামনে গিয়ে আত্মহত্যা করবে। সেটাই চান উনি? স্পষ্ট করে বলুন। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে রাজ্যপালকে হস্তক্ষেপ করতে হচ্ছে। বাংলার সংবিধানকে নষ্ট করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।” বিজেপির অভিযোগ গোটা দেশে লোকসভা ভোট হয়েছে। অথচ বাংলা ছাড়া অন্য কোথাও ভোট – পরবর্তী হিংসার নজির নেই। সেই কারণেই পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে একটি কমিটি গঠন করেছে বিজেপি। কমিটিতে আছেন বিপ্লব দেব, রবিশঙ্কর প্রসাদ, ব্রিজলাল এবং কবিতা পাতিদার।
তবে বিজেপির এই কমিটিকে কটাক্ষ করেছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “ভোট পরবর্তী হিংসা রাজ্যে ঘটে চলছে এটা ঠিক। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার এই নিয়ে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেন? এর আগেও বিভিন্ন ইস্যুতে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল রাজ্যে এসেছে। তারপর আর কিছু হয়েছে? বিজেপির এই প্রতিনিধি দলের গুরুত্ব কী?” এর মধ্যেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন তিনি আজ ফের ভোট – পরবর্তী হিংসায় আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের নিয়ে রাজভবনে যাবেন। সবমিলিয়ে ভোট – পরবর্তী হিংসা নিয়ে উত্তাল রাজ্য – রাজনীতি।