সত্যজিৎ রায়ের ‘বঙ্কুবাবুর বন্ধু’ গল্পটা মনে আছে? যেখানে বঙ্কুবাবু দেখা পেয়েছিলেন এক ভিনগ্রহীর। যার যাবার কথা ছিল প্লুটোয়, কিন্তু পথ ভুলে সে চলে এসেছিল পৃথিবীতে। বঙ্কুবাবু বেশ ভাব জমিয়ে ফেলেছিলেন সেই ভিনগ্রহীর সঙ্গে। সত্যজিৎ রায়ের লেখা গল্প ‘বঙ্কুবাবুর বন্ধু’ প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৬২ সালের ফেব্রুয়ারি সংখ্যায়। তবে তার বহু আগে থেকেই এলিয়েনদের আনাগোনা শুরু হয়েছিল মানুষের মনে। এলিয়েনদের নিয়ে মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই। কেমন দেখতে ভিনগ্রহীরা? তারা কি সত্যিই মানুষের থেকে উন্নততর? আট থেকে আশি সবার মনেই তাদের নিয়ে হাজার প্রশ্নের ভিড়। এবার সেই এলিয়েনদের নিয়েই একটি চমকে দেওয়ার মতো রিপোর্ট প্রকাশ করল হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি।
আরও পড়ুনঃ অনলাইনে অর্ডার করে আইসক্রিম খাচ্ছেন? সাবধান – মিলল মানুষের দেহাংশ
কী বলা হচ্ছে সেই রিপোর্টে? হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে ভিনগ্রহীরা রয়েছে আমাদের আশেপাশেই। কিন্তু ছদ্মবেশে থাকার জন্যই তাদের চিনতে পারছি না আমরা। কী? চমকে উঠলেন? হয়তো অফিসে আপনার কোন ঘনিষ্ঠ বন্ধুই সেই ছদ্মবেশী ভিনগ্রহী, অথবা আপনার বাড়িতে গতমাসে যে নতুন ভাড়াটে এসেছে তাদের মধ্যে কেউ নয়তো? ভিনগ্রহীদের নিয়ে আগ্রহের যেমন শেষ নেই, তেমন শেষ নেই তাদের নিয়ে তত্ত্বের। কারও ধারণা ভিনগ্রহীরা থাকে অন্য গ্রহে, কেউ আবার বলেন না, অন্য গ্রহে নয়, তাদের বসবাস মাটির নীচে। তবে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি এলিয়েনরা আছে ক্রিপটোটেরেস্ট্রিয়াল হিসেবে।
আরও পড়ুনঃ সারাদিন ভূতের রিলস দেখতেন, ভয়ঙ্কর পরিণতি মহিলার
এলিয়েনদের ক্রিপটোটেরেস্ট্রিয়াল বলা হচ্ছে কেন? কারণ ক্রিপটোটেরেস্ট্রিয়াল বলা হয় তাদের যারা ছদ্মবেশে মানুষের মধ্যে মিশে রয়েছে। তবে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক এই গবেষণা যে সম্পূর্ণ সঠিক একথা বলা চলে না। কারণ বহু বিজ্ঞানী এই দাবির সত্যতা নিয়ে সন্দিহান।