এবারের লোকসভা ভোটে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি বিজেপি (BJP)। শরিকদের সাহায্যে তৃতীয়বারের জন্য সরকার গড়েছেন নরেন্দ্র মোদি। এন ডি এ (NDA) শরিকদের মধ্যে বিজেপির পরে সবথেকে বেশি সংখ্যক আসন পেয়েছে তেলেগু দেশম পার্টি। চন্দ্রবাবু নাইডু(CHANDRABABU NAIDU) এবং নীতিশ কুমার দুজনেই বেশকিছুটা টালবাহানার পরে এন ডি এ সরকারের হাত ধরেছেন।
তবে সূত্রের খবর চন্দ্রবাবু নাইডু ইতিমধ্যেই বিজেপির উপর বেশ ক্ষুণ্ন। কারণ আগেই তিনি বিজেপির থেকে দাবি করেছিলেন স্বরাষ্ট্রদপ্তর। যদিও বিজেপি স্বরাষ্ট্রদপ্তর দিতে চাইনি তাকে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছেন অমিত শাহ। তাই এবার স্পিকার পদ নিয়ে বিজেপি এবং তেলেগু দেশম পার্টির মধ্যে শুরু হয়েছে দর কষাকষি।
আরও পড়ুনঃ জোট নাকি সন্ত্রাস? সিপিএমের বিপর্যয়ের নেপথ্যে কোন কারণ?
জানা গেছে, বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকেও নিয়মিত চন্দ্রবাবু নাইডুর সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। যাতে স্পিকার পদের দাবি নাইডু না ছাড়েন সেজন্য সবরকমভাবে চেষ্টা করবে ইন্ডিয়া। কারণ এবার সংখ্যার দিক দিয়ে ইন্ডিয়া জোট বেশ ভাল জায়গায় রয়েছে। তাই কোনভাবেই স্পিকারের পদটি বিজেপির হাতে দিতে নারাজ তারা।
তৃতীয়বারের জন্য মোদি সরকার গঠনের আগেই নীতিশ কুমার এবং নাইডু যথাক্রমে রেল এবং স্বরাষ্ট্রদফতরের দাবি জানালেও পূরণ হয়নি তাদের আশা। ফলে বিজেপি শিবিরের চিন্তা যেকোন সময় পাল্টি খেতে পারেন নীতিশ – নাইডু। এই পরিস্থিতিতে বিজেপির অন্দরে চাপ বাড়িয়ে চন্দ্রবাবু নাইডু জানিয়ে দিয়েছেন, স্পিকারের পদ তাদের দিতে হবে।
এবিষয়ে কোন সমঝোতায় যাবে না তারা। আবার নাইডুর সঙ্গেই স্পিকার পদের দাবি জানিয়েছেন চিরাগ পাসোয়ান। এখন দেখার শরিকদের চাহিদাকে সামলে কীভাবে এন ডি এ সরকারকে এগিয়ে নিয়ে যান মোদি।