লোকসভা ভোটে (Lok Sabha Election 2024) ঘাটাল আসনের (Ghatal Result) ফলাফল আসছে সামনে! হিরণ (Hiran Chattopadhaya) আস্ফালন সাঙ্গ! ঘাটালে (Ghatal) তৃণমূল (TMC) প্রার্থী দেব (Dev) ক্রমশ এগিয়ে চলেছেন তাঁর সম্ভাব্য তৃতীয় জয় তথা হ্যাটট্রিকের দিকে। বিকাল ৩:৩০ টে পর্যন্ত পাওয়া ফলাফল অনুযায়ী, দেব ঘাটালে হিরণের তুলনায় ১ লাখ ২৩ হাজার ৮৭ ভোটে এগিয়ে। দেবের প্রাপ্ত ভোট এখনও পর্যন্ত ৫ লক্ষ ২৬ হাজার ৮৬৯, ৫২.৬৪%। হিরণের প্রাপ্ত ভোট এখনও পর্যন্ত ৪ লক্ষ ৩ হাজার ৭৮২, ৪০.৩৪%।
ঘটনার ঘনঘটা পশ্চিম মেদিনীপুরের লোকসভা আসন ঘাটালকে কেন্দ্র করে। এই আসনে বিগত দুই বার ২০১৪, ২০১৯ সালের তৃণমূল সাংসদ অভিনেতা দীপক অধিকারী তথা দেব। কিন্তু ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে তিনি পুনরায় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ক্ষেত্রে রাজি ছিলেন না বলেই রাজনৈতিক মহলের খবর৷ সংবাদমাধ্যমে তিনি তেমন ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন। কিন্তু তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুরোধে তিনি তৃতীয় বারের জন্য ঘাটালের প্রার্থী হন। তারপর থেকেই দেবকে নিশানা করে আক্রমণ শানাতে থাকেন ঘাটালে বিজেপির অভিনেতা প্রার্থী তথা খড়গপুরের বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়। সাম্প্রতিক সময়ে দেবের বিরুদ্ধে গরু পাচার কান্ডে যুক্ত থাকা থেকে শুরু করে চাকরিতে আসন বিক্রি সহ একাধিক অভিযোগ আনেন হিরণ। টাকা নেওয়ার অভিযোগ এনে তীব্র আক্রমণ করেন বিজেপি প্রার্থী। পাল্টা জবাব দেন দেবও। তাঁদের বিতণ্ডাকে কেন্দ্র করে সরগরম হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি।
অন্যদিকে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বিজেপির তরফে মেদিনীপুর আসন থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় বিদায়ী সাংসদ দিলীপ ঘোষকে। মেদিনীপুরে তৃণমূলের জুন মালিয়ার বিরুদ্ধে বিজেপির প্রার্থী হন অগ্নিমিত্রা পাল। বর্ধমান-দুর্গাপুর আসনে বিজেপির প্রার্থী হন দিলীপ ঘোষ। দুটি আসনেই এখন হারের সম্মুখীন বিজেপি। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত, মেদিনীপুরে অগ্নিমিত্রা ৪২ হাজার ৮১৫ ভোটে পিছিয়ে এবং বর্ধমান-দুর্গাপুরে দিলীপ ঘোষ ১ লাখ ৩৬ হাজার ৮৫০ ভোটে পিছিয়ে। ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায় আবার রাজ্য রাজনীতিতে শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত৷ ফলে একদিক থেকে ঘাটাল আসনটি শুভেন্দুর অধীনস্থ আসনও বটে। কিন্তু সেখানে ক্রমশ তৃতীয় জয়ের পথে অভিনেতা দেব। গণনার প্রথম কয়েক রাউন্ডে তুল্যমূল্য লড়াই হয় হিরণ ও দেবের। কিন্তু যত সময় গড়িয়েছে, ব্যবধান বৃদ্ধি করেছেন তৃণমূল প্রার্থী। হিরণের এই আসন্ন হার রাজ্য রাজনীতির বিচারে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে বলে অভিমত বিশেষজ্ঞদের।