স্বপ্নীল মজুমদার,ঝাড়গ্রাম: ঝাড়গ্রাম (Jhargram) লোকসভা কেন্দ্রের স্ট্রং রুমের নজরদারি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বন্ধ থাকল প্রায় দেড় ঘন্টা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সরব হল তৃণমূল ও বিজেপি। ভোট গ্রহণের পর ঝাড়গ্রাম (Jhargram) লোকসভা কেন্দ্রের সাতটি বিধানসভার ইভিএম গুলি রাখা হয়েছে ঝাড়গ্রাম শহরের রাণী ইন্দিরাদেবী মহিলা মহাবিদ্যালয়ের স্ট্রং রুমে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর কড়া নিরাপত্তায় ইভিএমগুলি রাখা হয়েছে। সিসি ক্যামেরার মনিটারিং রুমে সর্বক্ষণ লাইভ ফুটেজ নজরদারি করার কথা। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ভারপ্রাপ্ত কর্মীরা সেখানে পালা করে স্ট্রং রুমের ৭টি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ নজরদারি করেন। মঙ্গলবার রাত ৩-৩৫ নাগাদ সিসি ক্যামেরাগুলি বন্ধ হয়ে যায়। বিষয়টি জানার পর সরব হন রাজনৈতিক দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীরা।
অভিযোগ, যে টেকনিশিয়ান সেখানে উপস্থিত ছিলেন তাঁর কাছে কমিশনের কোনও পরিচয়পত্র ছিল না। এই নিয়েই তৈরি হয় উত্তেজনা। খবর পেয়ে সেখানে উপস্থিত হন শহর তৃণমূলের সভাপতি নবু গোয়ালা। তিনি বলেন, ‘‘এতক্ষণ সিসি ক্যামেরার বন্ধ থাকার বিষয়টি তো সন্দেহ জনক। টেকনিশিয়ানের কাছে কোনও বৈধ পরিচয়পত্র নেই।’’ বিজেপি কর্মী কার্তিক মাহাতো বলেন, ‘‘এতক্ষণ সিসি ক্যামেরা বন্ধ থাকল। সাড়ে তিনটে নাগাদ বিষয়টি নজরে আসতেই প্রশাসনকে জানানো হয়। স্ট্রং রুমে কি হয়েছে জানার উপায় নেই। আমাদের উপরে উঠতে দেওয়া হয়নি। পুলিশরা তখন গাছের আম কুড়োচ্ছিল।’’ পরে আসেন বিজেপির প্রার্থী প্রণত টুডু ও জেলা বিজেপির সহ সভাপতি দেবাশিস কুণ্ডু। আসেন তৃণমূলের জেলা নেতা অশোক মাহাপাত্র, তৃণমূল প্রার্থী কালীপদ সরেন।
জেলাশাসক তথা ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রের রিটার্নিং অফিসার মৌমিতা গোদারা বসু পরিদর্শনে আসেন। প্রায় ঘন্টা দেড়েক সিসি ক্যামেরা বন্ধ থাকার পর সেগুলি চালু হয়। বিজেপির জেলা সহ সভাপতি দেবাশিস কুণ্ডু বলেন, ‘‘মিনিয়েচার সার্কিট ব্রেকার (এমসিবি) ডাউন হওয়ার কারণে নাকি ক্যামেরা বন্ধ হয়েছিল বলে টেকনিশিয়ানরা জানান। তাই যদি হয় তাহলে তো সব ক্যামেরা বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা। হঠাৎ করে মাঝে দু’বার তিনটি ক্যামেরা চালু হয়ে আবার বন্ধ হয়ে যায়। বিষয়টি আমাদের সন্দেহের মধ্যে রয়েছে। স্ট্রং রুমে ইভিএম আসার পর নানা রকম সমস্যা তৈরি হচ্ছে। আমরা উচ্চ নেতৃত্বকে বিষয়টি জানাচ্ছি। টেকনিশিয়ানের পরিচয়পত্র ইস্যু হয়েছে তাঁর ডাক নামে। আগামী দিনগুলিতে যেন কোনও সমস্যা না হয় সেটা কমিশনকে দেখতে অনুরোধ করেছি।’’ তবে ত্রুটি সারিয়ে এদিন সকাল ৫-১৫ মিনিটে সিসি ক্যামেরাগুলি চালু হয়। যদিও জেলা নির্বাচনী দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, যান্ত্রিক সমস্যায় কিছুক্ষণ সিসি ক্যামেরা বন্ধ হওয়ার অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে স্ট্রং রুমের সিল ও নজরদারি অটুট রয়েছে।