নিসর্গ নির্যাস মাহাতো~ রাজ্যে হয়ে গেল পঞ্চম দফার ভোট। এখনও বাকি ২ দফা। সমস্ত দলই রমরমিয়ে ভোট প্রচার করছে। এরই মাঝে ফের মাথা চাড়া দিয়েছে করোনার (corona virus) নয়া সাব ভ্যারিয়েন্ট। আশঙ্কার কিছু নেই? ফের সচেতন হওয়া প্রয়োজন নয় কি?
ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সাব ভ্যারিয়েন্ট পরিচিত ফ্লার্ট নামে। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত এই সাব ভ্যারিয়েন্ট দু’ধরনের কেপি.১.১ ও কেপি.২।
রাজ্যে এখনও পর্যন্ত করোনায় ৩০ জনেরও বেশি আক্রান্ত। কলকাতায় গত ৭ দিনে ৫ জনের শরীরে কেপি.২- এর অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে। এর মধ্যে ২ জন চিকিৎসাধীন। অন্যদিকে, অপর সাব ভ্যারিয়েন্ট জেএন.১- এর অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছিল ৮ জনের শরীরে।
বর্তমানে ফ্লার্ট কেপি.২ বেশি সংক্রমিত হচ্ছে। তবে তা আগের করোনার মতো ভয়ংকর নয়। অতি সামান্য।
ভোট উপলক্ষ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল প্রতিনিয়ত সভা ও জমায়েত করছে। প্রথম সারির নেতৃত্ব এলে উপচে পড়ে ভিড়। নেই সচেতনতা প্রচারের বালাই। শুধুই ভোট প্রচার। মাস্কটুকু ব্যবহার করতে বলা হচ্ছে না।
আরও পড়ুনঃ ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ নিয়ে বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী মমতার
এরপরে কোনও শক্তিশালী ভ্যারিয়েন্ট আসবে না, তা জোর দিয়ে দাবি করতে পারেন ‘ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত’ করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া রাজনৈতিক নেতৃত্বগণ? তখন উপায়? হঠাৎ লকডাউন? গরিবের যে পেট বড় বালাই। এখন থেকে সামান্য সচেতনতার কথা বলা ও মানা সম্ভব নয় কি? রাজনৈতিক সভা একটু সচেতন ভাবে করে? জনগণই তো ভোট দেয়। মড়কের সারি দেখা আর পরস্পর বিরোধীদের দোষারোপ করা ধর্মে সইবে?