চিফ রিপোর্টার- অর্পণ ভট্টাচার্য
Paschim Midnapore: প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভে গিয়েছিলেন শাহীস্নান করতে! সেই মহাকুম্ভই হল শেষ তীর্থযাত্রা। আর ফিরলেন না পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Midnapore) শালবনীর গোদাপিয়াশাল সংলগ্ন কাছারিরোড এলাকার বাসিন্দা বৃদ্ধা ঊর্মিলা ভূঁইয়া (৭৫)। বুধবার প্রয়াগরাজে প্রচন্ড ভিড়ে (Prayagraj Accident) পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
আরও পড়ুনঃ আজকের রাশিফল ৩১/১/২০২৫
১৪৪ বছর পরে প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভে বিশেষ যোগ। তাই শাহীস্নানে ভীড় হচ্ছে প্রচণ্ড। তারই মাঝে সোমবার ভোরে দুর্ঘটনা ঘটে। পদপৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় প্রায় ৩০ জন পুণ্যার্থীর। আহত বহু৷ মৃতের তালিকায় রয়েছেন শালবনীর গোদাপিয়াশাল সংলগ্ন কাছারিরোড এলাকার বাসিন্দা বৃদ্ধা ঊর্মিলা ভূঁইয়া (৭৫)। মেয়ে ও জামাইদের সঙ্গে প্রয়াগরাজে স্নানে গিয়েছিলেন তিনি। মঙ্গলবার প্রয়াগরাজে নামেন তাঁরা। সেই দিনটি থাকেন সেখানে ভারত সেবাশ্রমের আশ্রমে। বুধবার খুব ভোরে গঙ্গা, যমুনা, সরস্বতীর ত্রিবেণী সঙ্গমে স্নানের উদ্দেশ্যে বের হয়েছিলেন তাঁরা। সেই সময়ে ঘটে যায় দুর্ঘটনা। ভোর ৩ টে নাগাদ আত্মীয়দের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন বৃদ্ধা ঊর্মিলাদেবী। পরে দুপুর নাগাদ প্রয়াগরাজের মতিলাল নেহেরু মেডিকেল কলেজের মর্গে তাঁর দেহ সনাক্ত করেন নাতনি।
বুধবার দুপুরেই ঘটনার সংবাদ এসে পৌঁছায় শালবনীর ভূঁইয়া পরিবারে। শোকের পরিবেশ তৈরি হয় এলাকায়। বৃদ্ধার পরিবারের বক্তব্য, ধর্মপ্রাণ ছিলেন মহিলা। পুরী, গঙ্গাসাগর সহ বিভিন্ন তীর্থস্থল ভ্রমণ করেছেন একাধিকবার। কিন্তু প্রয়াগে মহাকুম্ভে গিয়ে আর ফিরলেন না। প্রয়াগরাজ থেকে দেহ মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের মর্গে আনা হয়েছে। শুক্রবার তাঁর শেষকৃত্য হওয়ার সম্ভাবনা। ইতিমধ্যেই পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন বিধায়ক সুজয় হাজরা, বিডিও প্রমুখরা৷ দিয়েছেন পাশে থাকার আশ্বাস।