Jhargram Medical: ঠিকাদার সংস্থার মাধ্যমে কর্মী নিয়োগের জন্য টেন্ডার নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠলো ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে (Jhargram Medical College)। টেন্ডারের জন্য প্রয়োজনীয় নথি জমা না দেওয়া সত্ত্বেও একটি নির্দিষ্ট সংস্থাকে কাজের বরাত দেওয়ার অভিযোগ এনেছে অপর একটি সংস্থা। অভিযোগের আঙুল ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের (Jhargram Medical College) অ্যাকাউন্টস অফিসারের দিকে। এই মর্মে লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে ঝাড়গ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের (Jhargram Medical College) অধ্যক্ষ এবং ঝাড়গ্রামের (Jhargram) জেলাশাসকের কাছে। এমনকি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার কথাও জানিয়েছে অভিযোগকারী সংস্থা।
সূত্রের খবর, বিগত বছরের ডিসেম্বর মাসে ঠিকাদারের মাধ্যমে হাসপাতালে জিডিএ, নিরাপত্তারক্ষী, সাফাই কর্মী প্রভৃতি পদে ৬১ জন কর্মী নিয়োগের জন্য দু’টি টেন্ডারের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। দু’টি মোট মূল্য ছিল ৮৬ লক্ষ টাকা। মোট ১৩টি সংস্থা অনলাইন টেন্ডারে অংশ নেয়। বর্তমানে টেন্ডারে অংশ নেওয়া সব সংস্থার জমা দেওয়া নথি অংশ নেওয়া অপর যেকোনও সংস্থা দেখতে পারে।টেন্ডারে অংশ নেওয়া একটি ঠিকাদার সংস্থার অভিযোগ, একটি নির্দিষ্ট সংস্থা প্রয়োজনীয় জিএসটি সংক্রান্ত নথি ও অন্যান্য নথি সঠিক ভাবে জমা না দেওয়ার পরেও তারাই টেন্ডারের ওয়ার্ক অর্ডার পেয়েছে। বরাত পাওয়া সংস্থাটির সঙ্গে হাসপাতালের অ্যাকাউন্টস অফিসারের ঘনিষ্ঠতার কারণেই সংস্থাটি বেনিয়ম করেও টেন্ডারের বরাত পেয়েছে বলে অভিযোগ অভিযোগকারীর।
অভিযোগকারী সংস্থাটির আরও অভিযোগ, এই বিষয়ে মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ও জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ জানানোর পরেও সুরাহা হয়নি। তাই বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে বেনিয়মের অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন ঝাড়গ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ সুস্মিতা ভট্টাচার্য। অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে, অভিযুক্ত ঠিকাদার সংস্থাটির তরফেও।