Midnapore Saline Case: মেদিনীপুর স্যালাইন-কাণ্ডে এবার সিআইডি তদন্ত, কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি মুখ্যসচিবের

Published On:

চিফ রিপোর্টার- অর্পণ ভট্টাচার্য
Midnapore Saline Case: মেদিনীপুর স্যালাইন কান্ডে এবার সিআইডি তদন্তের (CID Investigation) নির্দেশ। মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে (Midnapore Medical College) প্রসূতি মৃত্যু ও নিম্নমানের স্যালাইন দেওয়ার অভিযোগ সংক্রান্ত বিষয়ে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিয়েছে স্বাস্থ্য ভবনের তদন্ত কমিটি। তারপরেই সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে সিআইডি তদন্তের (CID Investigation) ঘোষণা করেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমও। মুখ্যসচিবের হুঁশিয়ারি, সমস্ত ঘটনায় (Midnapore Saline Case) গাফিলতি প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে সিজারের পরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন ৫ জন মহিলা। তাঁদের মধ্যে ১ জনের মৃত্যু হয়। ৩ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় গ্রিন করিডর করে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। ঘটনায় রিঙ্গার্স ল্যাকটেট (আরএল) স্যালাইনের গুণমান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ঘটনায় ১৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে স্বাস্থ্য দফতর। তাঁরা ইতিমধ্যেই মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ঘুরে গিয়েছেন। বৈঠক করেছেন মেডিকেল কলেজের সুপার, অধ্যক্ষ, নার্স, চিকিৎসকদের সঙ্গে। সংগ্রহ করা হয়েছে ঔষধ, স্যালাইন, অ্যানাস্থেশিয়া প্রভৃতির নমুনা। সোমবার তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ করেছে এই তদন্ত কমিটি। তারপরেই সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ।

সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যসচিব স্বাস্থ্য দফতরের তদন্ত কমিটির প্রাথমিক রিপোর্ট উল্লেখ করে জানিয়েছেন, প্রাথমিক রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে বিস্তারিত তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত কমিটির পাশাপাশি তদন্ত করবে সিআইডি। বিতর্কিত স্যালাইনের সমস্ত ব্যাচের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে নির্দেশিকা জারি করে ঐ সংস্থার স্যালাইন ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। গত ৭ জানুয়ারি থেকে ঐ সংস্থা উৎপাদন বন্ধ রেখেছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যসচিব। মুখ্যসচিব আরও জানিয়েছেন, অস্ত্রোপচারের সময় এক জন সিনিয়র চিকিৎসকের উপস্থিতিতে জুনিয়র চিকিৎসকেরা কাজ করেন। কিন্তু মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের প্রসূতিদের চিকিৎসার সময় সেই নিয়ম মানা হয়নি। এই বিষয়ে আরও তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে গত বুধবার রাতে সিজারের পর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ৫ জন সিজার রোগিনী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁদের মেডিকেল কলেজের সিসিইউ বিভাগে স্থানান্তরিত করা হয়। ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয় ৩ জনকে। কিন্তু শুক্রবার সকালে মামণি রুইদাস (২৪) নামে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়। বুধবার এক পুত্রসন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন তিনি। রোগিনীর পরিজনদের অভিযোগ, ভুল বা মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন দেওয়ার ফলেই রোগিনীরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তার ফলেই মৃত্যু৷ ঘটনার প্রেক্ষিতে উত্তেজনা তৈরি হয় মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল চত্ত্বরে। মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশবাহিনী। এখনও তিন জনের অবস্থা সঙ্কটজনক। প্রসূতিদের যে স্যালাইন এবং ওষুধ দেওয়া হয়েছিল, তার নমুনা পরীক্ষা করছে ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগ। ঘটনার তদন্তে স্বাস্থ্য দফতর কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটি শনিবার মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে আসে। রবিবার রাতে অসুস্থ তিন রোগিনী মাম্পি সিংহ (২৩), নাসরিন খাতুন (১৯) এবং মিনারা বিবি (৩১) কে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের আইসিইউ থেকে তিনটি অ্যাম্বুল্যান্সে গ্রিন করিডর করে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।