চিফ রিপোর্টার- অর্পণ ভট্টাচার্য
Midnapore Saline Case: মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ (Midnapore Medical College) থেকে অসুস্থ তিন জন প্রসূতিকে পাঠানো হল কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে (SSKM Hospital)। রবিবার রাতে গ্রিন করিডর করে তাঁদের মেদিনীপুর (Midnapore) থেকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু এই বিষয়ে গুরুতর অভিযোগ করলেন রোগিনীর পরিজনেরা। রোগিণীদের যে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ থেকে এসএসকেএম হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে সেই বিষয়ে তাঁদের আগে থেকে নাকি কিছু জানানোই হয়নি! অ্যাম্বুলেন্স এসে পৌঁছানোর পর তাঁরা জানতে পারেন।
জানা গিয়েছে, সিজারের পর থেকে অসুস্থ তিন রোগিনী মাম্পি সিংহ (২৩), নাসরিন খাতুন (১৯) এবং মিনারা বিবি (৩১) কে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের আইসিইউ থেকে তিনটি অ্যাম্বুল্যান্সে গ্রিন করিডর করে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রোগিনীদের সঙ্গে তিনটি অ্যাম্বুল্যান্সে ছিলেন ডাক্তার এবং নার্সরা। অন্যদিকে রোগিণীদের পরিজনেদের অভিযোগ, তাঁদের এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আগে থেকে কিছুই জানানো হয়নি। অ্যাম্বুলেন্স মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের আইসিইউ বিল্ডিংয়ের সামনে আসার পর তাঁরা কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে জানতে পারেন। পরিজনদের আরও অভিযোগ, রোগিণীদের শারীরিক বিষয়ে চিকিৎসকদের সঙ্গে তাঁদের কথা বলতেও দেওয়া হচ্ছে না।
অ্যাম্বুলেন্স রোগিণীদের জন্য
মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে বুধবার রাতে সিজারের পর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ৫ জন সিজার রোগিনী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁদের মেডিকেল কলেজের সিসিইউ বিভাগে স্থানান্তরিত করা হয়। ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয় ৩ জনকে। কিন্তু শুক্রবার সকালে মামণি রুইদাস (২৪) নামে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়। বুধবার এক পুত্রসন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন তিনি। রোগিনীর পরিজনদের অভিযোগ, ভুল বা মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন দেওয়ার ফলেই রোগিনীরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তার ফলেই মৃত্যু৷ ঘটনার প্রেক্ষিতে উত্তেজনা তৈরি হয় মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল চত্ত্বরে। মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশবাহিনী। এখনও তিন জনের অবস্থা সঙ্কটজনক। প্রসূতিদের যে স্যালাইন এবং ওষুধ দেওয়া হয়েছিল, তার নমুনা পরীক্ষা করছে ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগ। ঘটনার তদন্তে স্বাস্থ্য দফতর কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটি শনিবার মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে আসে। এবার রোগিণীদের নিয়ে যাওয়া হল এসএসকেএম হাসপাতালে।