চিফ রিপোর্টার- অর্পণ ভট্টাচার্য
Tigress Jinat: বাঘিনীর বাঘা মেজাজ সামলাতে গলদঘর্ম বন দফতর (Forest Department)। টানা নয় দিন ধরে বন দফতরের কর্মীদের কার্যত নাকানি চোবানি খাইয়ে ধরা পড়েছে জিনাত (Tigress Jinat)। ২০ ডিসেম্বর ঝাড়খণ্ড সীমান্ত দিয়ে ঝাড়গ্রামে প্রবেশ করে জিনাত (Jinat)। তারপর ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া ঘুরে বাঁকুড়ার জঙ্গলে ধরা দেয় সে। ২৯ ডিসেম্বর ঘুমপাড়ানি গুলি ছুঁড়ে বাঘিনীকে খাঁচাবন্দি করেন বনকর্মীরা। কিন্তু শুধু হয়রানি নয়, জিনাতকে বাগে আনতে খরচ হয়েছে প্রায় ৩৫ কোটি টাকা! বাঘিনীর মেজাজ সামলাতে খরচের বহর দেখে কার্যত চক্ষু চড়ক গাছ সকলের।
আরও পড়ুনঃ পুতিনের পরমাণু নীতি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের হুমকি! পারমাণবিক হামলা হলে পৃথিবী কীভাবে ধ্বংস হবে?
২৯ ডিসেম্বর বাঁকুড়ায় ধরা পড়ে জিনাত। চিকিৎসার জন্য কলকাতার আলিপুর চিড়িয়াখানায় নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। সেখান থেকে মঙ্গলবার রাতে গ্রিন করিডর করে ওড়িশা নিয়ে যাওয়া হয়েছে জিনাতকে। কিন্তু এই ক’দিনে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন ১৭৭ জন বন বিভাগের কর্তা ও কর্মীরা। রাজ্যের বনমন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা জানিয়েছেন, জিনাতকে ধরতে বন আধিকারিক ও কর্মীদের একাধিক দল ১০ দিন জঙ্গলে থেকেছে। চলেছে জেনেরেটর। থাকা, খাওয়া, গাড়ি, গ্রাম ঘেরার জাল, জেনারেটর, আলো সব মিলিয়ে এই কদিনেই খরচ হয়েছে ৩৫ কোটি টাকা। এই অঙ্ক আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ওড়িশার সিমলিপালের অরণ্য থেকে ঝাড়খণ্ড ঘুরে এই রাজ্যে এসেছিল জিনাত। গত সপ্তাহের শনিবার সকালে পুরুলিয়ার জঙ্গল থেকে বাঁকুড়ার রানিবাঁধ থানার গোঁসাইডিহি গ্রাম লাগোয়া জঙ্গলে চলে এসেছিল জিনাত। তাকে ধরতে গোটা জঙ্গল ঘিরে ফেলে জায়গায় জায়গায় আগুন লাগানো হয়। তারপর জিনাতের গলায় থাকা রেডিও কলারের সিগন্যাল ট্র্যাক করে অবস্থান নিশ্চিত করেন বন দফতর কর্মীরা। তাকে খুঁজে বের করে চালানো হয় ঘুমপাড়ানি গুলি। সেই গুলিতেই বাঘিনী কাবু হয়। তারপর খাচাবন্দি বাঘিনীকে নিয়ে যাওয়া হয় আলিপুর চিড়িয়াখানায়। সেখান থেকে ওড়িশায় প্রত্যাবর্তন ঘটেছে রাজ্যের অতিথির।