Semester from first grade: আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে প্রাথমিক শিক্ষায় বড় পরিবর্তন আনা হবে। প্রথম শ্রেণী থেকে একটি সেমিস্টার পদ্ধতি বাস্তবায়ন করা হবে এবং তরুণ শিক্ষার্থীদের জন্য শেখাকে আরও উপভোগ্য এবং কম চাপযুক্ত করার জন্য একটি ক্রেডিট পয়েন্ট পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে।
স্কুলের সময়সূচীর নতুন কাঠামো
- গ্রেড ১ এবং ২: শিক্ষার্থীরা পুরো শিক্ষাবর্ষে ৮০০ ঘন্টা পড়াশোনা সম্পন্ন করবে। এটি দুটি সেমিস্টারে বিভক্ত হবে, প্রতি সেমিস্টারে ৩৭৬ ঘন্টা।
- গ্রেড ৩ থেকে ৫: শিক্ষার্থীরা পুরো শিক্ষাবর্ষে ১০০০ ঘন্টা পড়াশোনা সম্পন্ন করবে, প্রতি সেমিস্টারে ৪৬০ ঘন্টা।
পরীক্ষায় পরিবর্তন
সবচেয়ে বড় পরিবর্তন হবে সেমিস্টার পদ্ধতিতে পরীক্ষা প্রবর্তন। প্রতি বছর দুটি পরীক্ষা হবে – একটি জুনে এবং অন্যটি ডিসেম্বরে। এটি তরুণ শিক্ষার্থীদের উপর চাপ কমাতে সাহায্য করবে এবং তাদের শেখার জন্য অনুপ্রাণিত রাখবে। প্রতিটি সেমিস্টারে ৬০ ঘন্টা লিখিত পরীক্ষা থাকবে।
Lakshmir Bhandar Scam: মাত্র ২১ বছরেই এত বড় চুড়ি, লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা হাতাতে নয়া কৌশল তরুণীর
নতুন পদ্ধতির উদ্দেশ্য
ভবিষ্যতের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করার জন্য নতুন পদ্ধতি চালু করা হচ্ছে। তাড়াতাড়ি শুরু করলে, শিক্ষার্থীরা বয়স বাড়ার সাথে সাথে সর্বভারতীয় পরীক্ষায় চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত হবে। এই পরিবর্তনগুলি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুমোদন করেছেন।
ক্রেডিট পয়েন্ট
নম্বরের পাশাপাশি, শিক্ষার্থীরা তাদের কাজের জন্য ক্রেডিট পয়েন্টও পাবে। এই সিস্টেমটি প্রথম শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত ব্যবহার করা হবে, তবে এটি প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণীর জন্য ব্যবহার করা হবে না।
নতুন শিক্ষাবর্ষের সময়সূচী
শিক্ষাবর্ষ দুটি সেমিস্টারে বিভক্ত হবে:
- প্রথম সেমিস্টার: জানুয়ারি থেকে জুন
- দ্বিতীয় সেমিস্টার: জুলাই থেকে ডিসেম্বর
এই নতুন ব্যবস্থাটি পাঠ্যক্রমের পরিবর্তনের অংশ, যা NCERT-এর জাতীয় শিক্ষা নীতি অনুসারে প্রস্তুত করা হয়েছে।
অভিভাবক এবং শিক্ষকরা যা বললেন
অভিভাবকরা এই পরিবর্তনগুলিতে খুশি, কারণ তাঁরা বিশ্বাস করেন যে এটি শিশুদের জন্য পড়াশোনা করাটা আরও মজাদার করে তুলবে এবং চাপ কমাবে। নতুন ব্যবস্থাটি শিক্ষার্থীদের শিক্ষার প্রতি আরও আগ্রহ তৈরি করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
সামগ্রিকভাবে, এই পরিবর্তনগুলির লক্ষ্য পশ্চিমবঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষাকে আরও আকর্ষণীয় এবং তরুণ শিক্ষার্থীদের জন্য কম চাপমুক্ত করা।