Paschim Midnapore: আমাজনের মাংসাশী গাছ মেদিনীপুরে, বেঁচে থাকে পতঙ্গ খেয়ে

Published On:

Paschim Midnapore: আমাজনের মাংসাশী গাছের দেখা মিললো পশ্চিম মেদিনীপুরে। গাছগুলি পতঙ্গভুক, অর্থাৎ বেঁচে থাকে পতঙ্গ ভক্ষণ করে। গাছগুলির বিজ্ঞানসম্মত নাম ‘ড্রসেরা’, স্থানীয় নাম ‘সূর্য শিশির‘ (Sundews)। পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Midnapore) চাঁদড়া ও চন্দ্রকোনা রেঞ্জের জঙ্গলে দেখা মিলেছে গাছগুলির। এছাড়াও দিন কয়েক আগে বাঁকুড়ার (Bankura) সোনামুখী ব্লকের বড় নারায়ণপুর গ্রাম লাগোয়া জঙ্গলেও সূর্যশিশির গাছের (Sundews) দেখা পাওয়া গিয়েছে।

উদ্ভিদ সাধারণত সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ায় নিজেদের খাদ্য নিজেই তৈরি করে। কিন্তু কিছু প্রজাতির উদ্ভিদ পতঙ্গভুক। তাদের থেকেই প্রয়োজনীয় পুষ্টি সংগ্রহ করে। দক্ষিণ আমেরিকার আমাজনের জঙ্গলে এমন বহু প্রজাতির উদ্ভিদের দেখা মেলে। তেমনই গাছ ড্রসেরা তথা সূর্যশিশিরের দেখা মিলেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের চাঁদড়া ও চন্দ্রকোনা রেঞ্জের জঙ্গলে ও বাঁকুড়ার সোনামুখী ব্লকের বড় নারায়ণপুর গ্রাম লাগোয়া জঙ্গলে। যদিও মেদিনীপুরের স্থানীয়দের দাবি অনেকদিন ধরেই গাছগুলি রয়েছে সেখানে। মেদিনীপুর সদর ব্লকের গুড়গুড়িপালে পরিত্যক্ত ইকোপার্কের জলাশয়ের পাশেও এমন গাছ রয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের।

মূলত শুষ্ক ল্যাটেরাইট মাটি যুক্ত এলাকায় জন্মায় সূর্যশিশির তথা সানডিউ। যে মাটিতে নাইট্রোজেনের মাত্রা অত্যন্ত কম সেখানেই এদের আধিক্য। এদের ফুল অত্যন্ত সুন্দর ও আকর্ষণীয় হয়ে থাকে। তাতেই আকৃষ্ট হয়ে পতঙ্গেরা গাছের দিকে যায়। গাছের গায়ে থাকা শুঁড়ের মতো আঠালো অংশে আটকে যায় তারা। শুঁড়ের মাধ্যমে পতঙ্গের শরীর থেকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সংগ্রহ করে গাছগুলি। গাছগুলি রক্ষা করতে ও স্থানীয়দের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে উদ্যোগী হয়েছে বন দফতর।