বিক্রম ব্যানার্জী: প্রতিদিন বাড়ি ফিরে জামাইবাবুর রোষের মুখে পড়তে হয় শ্যালক রবীন মন্ডলকে। রাত হলেই শুরু হয় ঝগড়া-অশান্তি, গলা ফাটানো চিৎকার। যা একেবারেই ভাল চোখে দেখেন না পাড়া-প্রতিবেশীরা। এবার এর একটা বিহিত করা দরকার। এই ভাবনা নিয়েই জামাইবাবুর কুকর্মের প্রতিবাদ করতে গিয়েছিলেন শ্যালক। তবে তার ফল যে এত ভয়ঙ্কর হবে এ কথা স্বপ্নেও কল্পনা করেননি যুবক। দৈনিক অশান্তির প্রতিবাদ জানাতে গেলে আচমকা শ্যালকের অন্ডকোষে কামড় বসান জামাইবাবু। বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই ব্যক্তি। ঘটনাস্থল, দক্ষিণ 24 পরগনার(South 24 Parganas) জীবনতলার ঘুটিয়ারি শরিফ।
সূত্র বলছে, প্রতিদিনের অশান্তিতে ইতি টানতে গেলে শ্যালকের যৌনাঙ্গের অন্ডকোষে কামড় বসিয়েই থেমে থাকেননি অভিযুক্ত জামাইবাবু। বরং দাঁত দিয়ে সেখানকার মাংসপিণ্ড ছিড়ে নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। বিরল ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দক্ষিণ 24 পরগনার ঘুটিয়ারি শরিফ থানা এলাকার অন্তর্গত মাকালতলা গ্রামে। জানা গিয়েছে, জামাইবাবুর কুকীর্তির পর গুরুতর জখম অবস্থায় আক্রান্ত যুবককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সূত্র মারফত খবর, দিদি ও জামাইবাবু মুন্না সাউয়ের সঙ্গে একই ছাদের তলায় থাকতেন শ্যালক রবীন মন্ডল। দিদির পরিবারের সমস্ত দায়িত্ব ছিল তাঁর কাঁধেই। কারণ জামাইবাবু মুন্না কোনও রকম কাজ করতেন না। ছোট ছোট বিষয় নিয়ে অশান্তি এবং স্ত্রীকে মারধর করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
স্থানীয়দের দাবি, প্রায় প্রতিদিনই মুন্নার বাড়িতে তুঙ্গে উঠতো অশান্তি। মাঝেমধ্যেই ঘরের দরজা বন্ধ করে বউকে মারধর করারও অভিযোগ রয়েছে আক্রান্ত যুবকের জামাইবাবুর বিরুদ্ধে। জানা যায়, সোমবার রাতে জামাইবাবুর অত্যাচার চরমে ওঠে। দিদির ওপর প্রতিদিনের অত্যাচার এবং লাগামহীন অকথ্য গালিগালাজ সহ্য করতে না পেরে সেদিন প্রতিবাদ জানান শ্যালক রবীন। আর তাতেই মেজাজ হারিয়ে স্ত্রীয়ের ভাইয়ের গোপনাঙ্গে কামড় দিয়ে বসেন অভিযুক্ত। বিভিন্ন সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, শ্যালককে আক্রমণের ঘটনা এটাই প্রথম নয়। এর আগে বহুবার রবীনের ওপর নানান অবর্ণনীয় অত্যাচার চালিয়েছেন অভিযুক্ত জামাইবাবু। জানা যায়, একবার রবীনের কানে কামড় বসিয়েছিলেন মুন্না। বর্তমানে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে তদন্ত।
আরও পড়ুন: দক্ষ সৈনিক নয়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহকে হনুমান বললেন অভিনেতা বরুণ ধাওয়ান