বিক্রম ব্যানার্জী: পরাজয়ের স্বাদ চেখে দেখলেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ(Olaf Scholz)। সোমবার জার্মান পার্লামেন্টে ডাকা আস্থা ভোটে হারতে হলো তাঁকে। যদিও এই পরাজয়ের আভাস আগেই পেয়ে গিয়েছিলেন শোলজ। বুঝে গিয়েছিলেন, তাঁর পতন অনিবার্য। আর সেই পথ ধরেই জার্মানিতে আসন্ন 23 ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের দিন চূড়ান্ত হয়েছে।
জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, জার্মানিতে অর্থনৈতিক সংস্কার নিয়ে জোট সরকারের অংশীদার মূলত 3 দলের মধ্যে মতপার্থক্য দেখা দেয়। যার জেরে কার্যত রাজনৈতিক সংকটে ভুগতে থাকে জার্মানি। পদ হারানোর ভয়ে ধুঁকছিলেন জার্মান চ্যান্সেলরও। এহেন আবহে দেশের স্বার্থে 16 ডিসেম্বর আস্থা ভোটের ডাক দেওয়া হয়।
যদিও প্রাথমিকভাবে আস্থা ভোটে সায় ছিলনা শোলজের। কারণ তিনি জানতেন আস্থা ভোট হলে ক্ষমতাচ্যুত হতে হবে। আর সেই ভাবনাই সত্যি হলো। যদিও দলকে জিতিয়ে কুরসি ধরে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েছিলেন জার্মান চ্যান্সেলর। তবে কাজের কাজ হয়নি। বিশেষজ্ঞদের মতে, শোলজের দল আসন্ন নির্বাচনে জেতার অকল্পনীয় চেষ্টা করতে পারে। তবে তাতে ফল কতটা হবে এ কথা বলা কঠিন।
প্রসঙ্গত, জার্মানির অর্থনৈতিক ভিত চাঙ্গা করতে 3 দলের মধ্যে মতানৈক্য ছিল বহু আগে থেকেই। অর্থনৈতিক সংস্কারের দাবি তুলে বারংবার প্রশ্ন উঠেছিল ক্ষমতাসীন জোট সরকারের ভূমিকা নিয়ে। যার কারণে শেষবারের মতো জুলাইয়ে জোট সরকার ভেঙে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়। কিন্তু সৌভাগ্য যে তেমনটা হয়নি। বলা বাহুল্য, জার্মানি সামাজিক গণতন্ত্রী এসপিডি দলের প্রধান মুখ ওলাফ শোলজের নেতৃত্বে প্রথম 2021 সালে জোট সরকার গঠন করেছিল এফডিপি পার্টি এবং গ্রীন পার্টি। বর্তমানে সেই ক্ষমতা হারাতে বসেছে তারা।