বিক্রম ব্যানার্জী: গাজায় বসবাসকারী মানুষদের প্রধান শত্রু বানিয়েছে ইজরায়েল! দীর্ঘ 15 মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা ইজরায়েলি হামলায় গাজা উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় তীব্র স্বাস্থ্য সংকট দেখা দিয়েছে। ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে সহায়তার আবেদন জানিয়েছে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাস(Hamas)। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা গুলিকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে সংগঠনটির(Hamas) তরফে।
ইজরায়েলের বেলাগাম হামলায় মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে গাজা। ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে বেঁচে থাকার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন অঞ্চলটির বাসিন্দারা। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নেতানিয়াহুর দেশটির অবিরাম আক্রমণে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন বহু মানুষ। সেই সাথে তাদের তত্ত্বাবধানে কমপক্ষে 10 হাজার মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন। যাদের মধ্যে আড়াই হাজারই শিশু।
সূত্রের খবর, ভয়াবহ শারীরিক অসুস্থতার মধ্যে থেকেও চিকিৎসার জন্য এলাকার বাইরে বের হতে পারেননি কেউই। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ছয় মাসে একজন রোগীও নিজস্ব এলাকা ছেড়ে চিকিৎসার জন্য অন্যত্র পাড়ি দেওয়ার সাহস দেখায়নি। এদিকে গাজায় কোনও রকম সাহায্য পৌঁছতে পারছে না ইজরায়েল বাহিনীর কারণে। দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর দখলে থাকা গাজার এলাকাগুলি থেকে চিকিৎসা সংক্রান্ত সরঞ্জাম এবং ওষুধ সরবরাহ বন্ধ করে রেখেছে তারা।
ইজরায়েল বাহিনীর বিরুদ্ধে সরব হয়ে এক বিবৃতিতে হামাস জানিয়েছে, উপত্যকার বিভিন্ন অঞ্চলে ইজরায়েল সেনাবাহিনী যে হারে আক্রমণ চালাচ্ছে তা সম্পূর্ণ মানবতাবিরোধী অপরাধ। ইজরায়েলের এই কর্মকাণ্ড গণহত্যা এবং জাতি নিধনের সমতুল্য। ইজরায়েল বাহিনীর ক্রমাগত হামলার কারণে একপ্রকার কোণঠাসা হয়ে পড়েছে গাজায় বসবাসকারী মানুষজন। পরিস্থিতি যখন এমন ঠিক তখনই আরবসহ বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম দেশগুলিকে এক জোট হয়ে গাজার সহায়তায় নিজেদের নিমজ্জিত করার জন্য কমিটি গঠনের আহ্বান জানিয়েছে হামাস। পাশাপাশি গাজা উপত্যকায় মৃত্যু পথযাত্রীদের দ্রুত স্বাস্থ্য সহায়তা পাঠানোর আবেদন জানানো হয়েছে সংগঠনটির পক্ষ থেকে।