Suvendu Adhikari: বাংলার বুকেই আক্রান্ত হিন্দুরা, ভজন শোনায় বেধড়ক মারধর! ভিডিও পোস্ট করে চাঞ্চল্যকর দাবি শুভেন্দুর

Published On:

বিক্রম ব্যানার্জী: উত্তপ্ত বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের ঘটনা এখন সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। হিন্দু ধর্মালম্বীদের পাশাপাশি ওপার বাংলার আকাশে ঘনাচ্ছে ভারত বিদ্বেষী মেঘ। বিভিন্ন সময়ে দুঃসময়ের বন্ধু ভারতকে কটাক্ষ করে ছুঁড়ে দেওয়া হচ্ছে নানান কু মন্তব্য। সেদেশে সংখ্যালঘু ভাই-বোনেরা প্রকাশ্যে আক্রান্ত হচ্ছেন কিছু অমানবিক বাংলাদেশিদের হাতে। পদ্মা পাড়ের দেশে হিন্দুদের অবস্থা যখন এমন, ঠিক সেই সময়ে বাংলাতেও তার প্রতিফলন লক্ষ্য করা গেল। রাজ্যের রাজপথে হিন্দুদের ওপর বর্বর অত্যাচার চালালো কিছু ভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষজন। সম্প্রতি নিজের এক্স হ্যান্ডেলে এমনই দাবি তুলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী(Suvendu Adhikari)।

বিজেপি নেতার তরফে জানানো হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি এলাকায় হিন্দুদের ওপর নির্মম অত্যাচার চালিয়েছে কিছু ইসলাম ধর্মালম্বী মানুষজন। সমাজ মাধ্যমে সেই মুহূর্তের একটি দৃশ্য পোস্ট করে শুভেন্দু দাবি করেন, ওয়াকফ সংশোধনী বিল 2024-এর প্রতিবাদে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এক সভার আয়োজন করা হয়েছিল। মূলত সংখ্যালঘুরা এই সভার আয়োজন করেছিল। যাকে ঘিরে তৈরি হয় তীব্র যানজট। বিধানসভার বিরোধী দলনেতার দাবি, একটি গাড়ি সভাস্থলের কাছাকাছি যেতেই চরমে ওঠে পরিস্থিতি। শুভেন্দু বলেন, গাড়ির ভেতরে ঠাকুরের ভজন চলছিল, ঠিক সেই সময়ে ভজন শুনে উত্তেজিত হয়ে পড়েন সভায় যোগ দেওয়া সংখ্যালঘুরা। পরবর্তীতে গাড়িটির ওপর হামলা চালিয়েছেন তারা।

বিজেপি নেতার তরফে পোস্ট করা ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, সংখ্যালঘুদের সভা ঘিরে তীব্র যানজট তৈরি হয়েছে রাস্তায়। একটি গাড়িকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষজন। সময় যত গড়ায় উত্তেজিত জনতার রোষ ততই বাড়তে থাকে। হঠাৎই গাড়িটির উপর হামলা করে বসেন তারা। ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। সভায় উপস্থিত সংখ্যালঘুরা এক সময়ে গাড়িটি ভাঙচুর শুরু করে। ভেঙে ফেলা হয়, গাড়ির সামনের কাঁচ। এমনকি গাড়ির ভিতরে হাত ঢুকিয়ে চালককে মারধোর করতেও দেখা যায় তাদের। যেই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি হতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পা রেখেছে বিজেপি নেতার হাত ধরে।

ভিডিওটি এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করার পাশাপাশি শুভেন্দু লিখেছেন, গাড়িতে উপস্থিত যাত্রীরা দীঘা থেকে ফিরছিলেন। সেই সময়ে ওই গাড়িতে ভজন চলছে তা জানতে পেরে চড়াও হয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষজন। শুভেন্দু আরও লিখেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোট ব্যাঙ্কের প্রচুর মানুষ সেখানে এসেছিলেন। যিনি আক্রান্ত হয়েছেন তার একমাত্র দোষ তিনি সনাতনী ভজন শুনেছিলেন। এরপরই সভায় যোগ দেওয়া সংখ্যালঘুরা উত্তেজিত হয়ে গাড়িতে হামলা চালায়। গাড়ির চালকসহ যাত্রীরা যে আতঙ্কের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে, তা কল্পনাও করা যায় না। গাড়িটি ভাঙচুর করার পাশাপাশি যাত্রীদের বেধড়ক মারধর করা হয়েছে।

পোস্টটি দেখুন:

আরও পড়ুন: চোরাপথে আমেরিকায় যেতে গিয়ে বিপদের মুখে 230 জন ভারতীয়, খোয়া গেছে 3 কোটি টাকা