বিক্রম ব্যানার্জী: কেন্দ্রীয় সরকারের এক দেশ, এক নির্বাচন(One Nation one Election) এবার বাস্তবায়িত হতে চলেছে! প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ভারতে নির্দিষ্ট নির্বাচনের লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য আগেই বিল অনুমোদন করেছিল। এবার বিলটি পাস হওয়ার অপেক্ষায়। জানা গিয়েছে, পার্লামেন্টে চলমান অধিবেশনে এক দেশ, এক নির্বাচন(One Nation one Election) বিলটি তোলা হতে পারে। আর সেখানেই চূড়ান্ত হবে কেন্দ্রীয় সরকারের নয়া পদক্ষেপের ভবিষ্যৎ।
দীর্ঘ 6 দশক পেরিয়ে ফের ভারতে এক দেশ, এক নির্বাচন পদ্ধতি চালু করতে মরিয়া কেন্দ্রীয় সরকার। শেষবারের মতো 1947 সালে স্বাধীনতা অর্জনের পর প্রথম সংসদীয় ও রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের মডেল পরিকল্পনা করা হয়। এরপরই 1952 সালে এক দেশ, এক নির্বাচন পদ্ধতি চালু হয়। তবে নিয়মের বদল ঘটে 1967 তে। এই বছরই শেষ বারের মতো ভারতের জনগণ এক দেশ, এক নির্বাচন পদ্ধতিতে ভোট দান করেছিলেন। শুধুমাত্র উত্তরপ্রদেশ ছাড়া ভারতের প্রত্যেকটি রাজ্যে এই পদ্ধতি মেনেই ভোট গ্রহণ পর্ব চলেছিল।
1967-র নির্বাচন চলছিল 15 থেকে 21 ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। যা ছিল ভারতের চতুর্থ নির্বাচন। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সেবার গোটা দেশ জুড়ে 520টি লোকসভা আসন এবং 3 হাজার 563টি বিধানসভা আসনে সংসদ ও বিধায়ক নির্বাচনের জন্য ভোট দান করেছিলেন কয়েক কোটি নাগরিক। এরপর জোট রাজনীতি তুঙ্গে উঠলে ভারতে এক দেশ, এক নির্বাচন পদ্ধতি মুখ থুবড়ে পড়ে। এবার সেই পদ্ধতিকেই নতুন করে ফিরিয়ে আনতে চায় বিজেপি নেতৃত্ব। যার পরিকল্পনা চলছিল বহু বছর আগে থেকেই। বলা বাহুল্য, পার্লামেন্টে এক দেশ, এক নির্বাচন বিলটিতে সীলমোহর পড়লে ভারতীয় নাগরিকরা একসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকার এবং সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের সিংহাসনে কোন দল বসবে তা নির্ধারণ করতে পারবেন ভোট দানের মধ্যে দিয়ে।