বিক্রম ব্যানার্জী: অবশেষে দীর্ঘ অস্বস্তির সমাপ্তি! আমেরিকা ও ফ্রান্স সরকারের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি মেনে দক্ষিণ লেবানন থেকে সেনা প্রত্যাহারের কাজ শুরু করেছে ইজরায়েলে(Israel)। চুক্তি অনুযায়ী, আগামী 60 দিনের মধ্যে লেবাননের দক্ষিণ সীমান্ত থেকে ইজরায়েলি(Israel) সেনা প্রত্যাহার এবং ইরানপন্থী সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ বাহিনীকে লিতানি নদীর উত্তর অংশ থেকে সরে যেতে বলা হয়েছিল। তবে সেই নির্দেশের পরও ইজরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ চোখে পড়ে। কিন্তু এবার সেই দ্বিপাক্ষিক যুদ্ধ তলানিতে ঠেকবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বৃহস্পতিবার সেই তথ্যই নিশ্চিত করেছে অতি পরিচিত এক বিদেশি সংবাদ মাধ্যম।
এর আগে বুধবার আমেরিকান সেন্ট্রাল কমান্ড এক বিবৃতিতে জানান, ইজরায়েলি বাহিনী লেবানন থেকে সেনা প্রত্যাহারের কাজ শুরু করেছে। দক্ষিণ লেবাননের অন্যতম শহর আল খিয়াম থেকে ইজরায়েলি সেনা সরে গিয়েছে এবং সেই ফাঁকা জায়গা ভরাট করছেন লেবানিজ সেনারা। বিবৃতি তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ শত্রুতা ও প্রবল সংঘর্ষ বন্ধ করার বিষয়টি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে এটি একটি অসাধারণ পদক্ষেপ। এই ঘটনা অব্যাহত অগ্রগতির ভিত্তি স্থাপন করবে। ইজরায়েল-হিজবুল্লাহ যুদ্ধ বিরতির প্রথম ধাপ প্রসঙ্গে নিজের মূল্যবান বক্তব্য ভাগ করে নিয়েছেন লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতিও।
এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্য, লেবাননের খিয়াম ও মারজুয়ান এলাকা থেকে ইজরায়েল সেনা প্রত্যাহারের পর নতুন করে লেবানিজ সেনা মোতায়েনে যুদ্ধ বিরতির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হয়েছে। যা অন্যতম একটি মৌলিক পদক্ষেপ। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে দ্বিপাক্ষিক যুদ্ধবিরতি প্রসঙ্গে মিকাতি লেখেন, দক্ষিণ লেবানন থেকে ইজরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের পর, এলাকাটিতে স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা লেবাননের সেনাবাহিনীর প্রচেষ্টাকে অভিনন্দন জানাই। অন্যদিকে ইজরায়েল বলছে তাদের সেনাবাহিনীর 7 নম্বর ব্রিগেড দক্ষিণ লেবাননের খিয়ামে অভিযান শেষ করেছে।
উল্লেখ্য, ইজরায়েলি সামরিক বাহিনীর তরফে জানানো হয়, আমেরিকা ও ফ্রান্সের যুদ্ধ বিরতি চুক্তি সমঝোতার মধ্য দিয়ে লেবাননের সশস্ত্র বাহিনী এলাকাগুলিতে জড়ো হচ্ছে। ইজরায়েল-হিজবুল্লাহ যুদ্ধবিরতি প্রসঙ্গে আমেরিকার প্রতিরক্ষা বিভাগ জানায়, আমেরিকার প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর সাথে কথা বলেছেন। অস্টিনের মতে, আমেরিকা যেহেতু ইজরায়েল-হিজবুল্লাহ সংঘর্ষ বন্ধ করতে চায় তাই আমেরিকার এই সমর্থনকে ইজরায়েল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক স্বীকার করেছে।
আরও পড়ুন: শতবর্ষ উদযাপনে 2030 ফিফা বিশ্বকাপের আয়োজন করবে 6 দেশ